২৭ নভেম্বর ২০১৮, ২২:২৪

অবৈধ মোবাইল সেট: রাজস্ব হারাচ্ছে দেড় হাজার কোটি টাকা

সাংবাদিক সম্মেলনে বিএমপিআই নেতারা  © সংগৃহীত

প্রতি বছর সরকার অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের কারণে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ২০১৭ সালেও দেশে অবৈধ সেটের বাজার ছিল ৩ হাজার কোটি টাকার। চলতি বছর সেটা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। আর বৈধ মার্কেটের বাজার গেল বছর ছিল ৭ হাজার কোটি টাকার। এবার সেটা ৫০০ কোটি কমে গেছে। অবৈধ বাজার বাড়ার ফলে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি গ্রাহকরাও বেশী টাকা দিয়ে রিফার্নিস সেট কিনে প্রতারিত হচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিএমপিআই) নেতারা এই তথ্য তুলে ধরেন। তারা বলেন, গ্রে মার্কেটের ফলে দেশে তৈরী কারখানাগুলোও ঝুঁকিতে পড়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শহীদ, যুগ্ম সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন, রাকিবুল কবীর, রেজওয়ানুল হক, জয়নাল আবেদিন ও এম এইচ খানসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব মানিক বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে এ অবস্থা চলতে থাকলে বৈধ আমদানীকারকরা ক্রমেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। সরকারের রাজস্বও ক্রমেই কমতে থাকবে। অবৈধ আমদানি রোধে গত বছর স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল সংযোজন ও উৎপাদনের অনুমতি দেয় সরকার। সংযোজনকারীরাও প্রায় ১৫-১৭ শতাংশ শুল্ক ও কর পরিশোধ করেন মোবাইল তৈরির যন্ত্রাংশ আমদানিতে। কাজেই দেশে তৈরি ও সংযোজিত হ্যান্ডসেট অবৈধ হ্যান্ডসেটের সাথে মূল্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। দেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার পরও এর পর্যাপ্ত ব্যবহার বাড়ছে না জানিয়ে মানিক বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে ব্যবহারকারীদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য কিস্তিতে মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রি করা হয়। বাংলাদেশে বিটিআরসি এখনও এই বিষয়ক নীতিমালা অনুমোদন করেনি তাই সম্ভব হচ্ছে না।

বিএমপিআইএ জানায়, গত নয় মাসে দেশে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ মোবাইল ফোন আমদানী হয়েছে। অথচ গত বছরের একই সময়ে দেশে আমদানি হয়েছিলো ২ কোটি ৮০ লাখ মোবাইল ফোন। এর মধ্যে স্মার্টফোন আমদানি হয়েছিল ৬০ লাখ। এ বছর ৯ মাসে স্মার্টফোন আমদানি হয়েছে ৫০ লাখ ( যা ১৭% কম)।