বিদেশি ঋণ পাওয়ার চেয়ে কিস্তি পরিশোধে বেশি ব্যয় সরকারের
চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে দেশে ৪৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার বিদেশি ঋণ এসেছে। তবে এ সময় ৫৮ কোটি ৯২ লাখ ডলার বিদেশি ঋণ শোধ করতে হয়েছে। সে হিসাবে দেশে যত বিদেশি ঋণ এসেছে, তার চেয়ে কিস্তি পরিশোধে বেশি অর্থ খরচ করতে হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জুলাই ও আগস্ট মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি সম্পর্কে হালনাগাদ এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। সে অনুযায়ী, জুলাই-আগস্ট মাসে ঋণ পরিশোধ বাড়লেও বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি তলানিতে নামে। দুই মাসে মাত্র দুই কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, জুলাই-আগস্ট সময়ে কম অর্থ ছাড় করা হয়েছে। বিপরীতে এ সময়ে নিয়মিত বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার দিতে হয়েছে ঋণের আসল হিসেবে। আর সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১৭ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সুদাসল বাবদ ১৯ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ হয়েছে।
আরো পড়ুন: টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা
গণ অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), আইএমএফসহ উন্নয়ন সহযোগীদের অনেকে বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার যে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তা বাস্তবায়নে সহায়তা করতে এ ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।