২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:১১

প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বকাপে পশ্চিম এশিয়ার রানার আপ ঢাবি

প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বকাপে পশ্চিম এশিয়ার রানার আপ ঢাবি  © সংগৃহীত

প্রোগ্রামিং বিশ্বকাপ খ্যাত ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (আইসিপিসি) ৪৮তম আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে ‘এশিয়া-ওয়েস্ট’ অঞ্চলে রানার আপ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় গত ১৫ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব।

এতে বিশ্বের ৫০-এর বেশি দেশের ১৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪৫০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ৫৬তম হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। পাশাপাশি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) হয়েছে ৭০তম এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ১১৫তম হয়েছে।

এবারের আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে মোট ১২টি সমস্যা দেওয়া হয় সমাধানের জন্য। এর মধ্যে ৯টি সমস্যা সমাধান করে পুরো প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সমপরিমান সমস্যা সমাধান করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে রাশিয়ার মস্কো ইনস্টিটিউট অব ফিজিকস অ্যান্ড টেকনোলজি ও চীনের চিংহুয়া ইউনিভার্সিটি। সমপরিমাণ সমস্যা সমাধান করলেও সময়ের ব্যবধানে তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এই প্রতিযোগিতায় পাঁচটি সমস্যা সমাধান করে ‘এশিয়া-ওয়েস্ট’, অর্থাৎ পশ্চিম এশিয়ায় রানার আপ হয়েছে। এ অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তেহরানের শরিফ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি। তারা ৭টি সমস্যা সমাধান করেছে। শাবিপ্রবিও ৫টি সমস্যা সমাধান করেছে, আর কুয়েট সমাধান করেছে তিনটি সমস্যার।

তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোগামিং নিয়ে প্রতি বছর বিশেষভাবে আয়োজিত হয় প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অলিম্পিয়াড ‘ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টে’র (আইসিপিসি)। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রোগ্রামিংবিষয়ক এ প্রতিযোগিতা খুবই সম্মানজনক। একে প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বকাপও বলা হয়। 

এবারের আইসিপিসি আয়োজন করেছে কাজাখস্তান কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং ফেডারেশন; মিনিস্ট্রি অব ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট, ইনোভেশনস অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি অব দ্য রিপাবলিক অব কাজাখস্তান, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হোল্ডিং কর্প ও আইসিপিসি ফাউন্ডেশন।

আইসিপিসির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সাল থেকে। যদিও ১৯৭৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ আয়োজনের দায়িত্বে ছিল কম্পিউটারের বৈজ্ঞানিক গবেষণার অন্যতম বৃহৎ ও পুরোনো প্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি (এসিএম)।