২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৬

অসহায় লোকসানি দিন কাটাচ্ছেন ফেসবুকভিত্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

ফেসবুকভিত্তিক ব্যবসা  © প্রতীকী ছবি

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ইন্টারনেট এবং ফেসবুক সেবা না থাকায় পু্রোপুরি বন্ধ রয়েছে ফেসবুকভিত্তিক ব্যবসা।  এতে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে সব ধরনের অনলাইন ব্যবসা। এত এই খাতে বিপাকে পড়েছেন কয়েক লাখ উদ্যোক্তা। ব্যবসা কমেছে মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবসায়ীদেরও।

দেশে কয়েক বছরে অনলাইন নির্ভর কেনাকাটা বেড়েছে কয়েকগুণ। একটা সংসারের প্রয়োজনীয় সব পণ্যের কেনাকাটায় বেড়েছে অনলাইন নির্ভরতা। যাতে সাশ্রয় হয় সময়, বাঁচা যায় বাজারে যাওয়া বা দরদামের ঝক্কি থেকে। তবে গত ২৩ জুলাই রাতে দেশে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড সেবা এবং রোববার (২৮ জুলাই) মুঠোফোনে ফোর–জি ইন্টারনেট চালু হলেও বন্ধ রয়েছে ফেসবুক। 

খুব সহজ একটি যোগাযোগ মাধ্যম হওয়ার কারণে বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহার খুব দ্রুত বেড়েছে। এর ওপর নির্ভরতাও বেড়েছে। অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি বড় অংশ ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের নিয়মিত অর্ডার পায়।

আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষতি ৩২ কোটি টাকা

জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হতো ১০০ কোটি টাকার। দেশের সীমা ছাড়িয়ে যা সংযোগ বাড়িয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও। তবে কোটা ইস্যুতে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ধস নেমেছে অনলাইন ব্যবসায়। সরবরাহ বন্ধ, পণ্যের স্তূপ জমেছে ওয়্যার হাউজগুলোতে।

এদিকে, পণ্যের জোগান আর বিপণনের সঙ্গে জড়িত কয়েক লাখ মানুষ এখন উদ্বিগ্ন, কাটাচ্ছেন অলস সময়। আসছে না অর্ডার, হচ্ছে না সরবরাহ। চিন্তার ছাপ ব্যবসায়ীদের কপালে, শঙ্কা লোকসানের। 

দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স উদ্যোগ চালডাল ডটকমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জিয়া আশরাফ জানান, আমরা ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতিদিন গড়ে ছয়–সাত হাজার অর্ডার পেয়ে থাকি। ইন্টারনেট না থাকার কারণে সেটা নেমে এসেছে দুই হাজারে, যা আমরা কল সেন্টারের মাধ্যমে গ্রহণ করেছি।

ফেসবুক পেজ ফ্যাশনীলের উদ্যোক্তা জাহেরা চৌধুরী ও সাম্মী ইসলাম বলেন, ‘আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ফেসবুকেই পণ্য বিক্রি করি। কিন্তু এটা বন্ধ থাকার কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি। আমি একা নই, আমার মতো অনেক উদ্যোক্তাই পড়েছে এই বিপদে। আমার এই কদিনে পাঁচ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেসবুক খুলে দিলে একটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা যাবে।’

শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেই যে প্রভাব পড়েছে তা নয়, এর প্রভাব তরুণ সমাজে আরও প্রকট আকারে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যম দিয়ে দেশ-বিদেশে থাকা আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গেও ভালোভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছে না অনেকেই।