সারাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি, ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যা
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সারাদেশে চলছে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়াতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যায় পড়ার কথা জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা। হঠাৎ মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কমে গেছে। ফেসবুকেও প্রবেশ করতে পারছেন না অনেকে।
বুধবার (১৭ জুলাই) দেশের প্রায় সব মোবাইল অপারেটরের ইন্টারনেট ধীরগতিতে চলার তথ্য দিয়েছেন ব্যবহারকারীরা।
গ্রাহকদের অভিযোগ, হঠাৎ করে ইন্টারনেট গতি কমে গেছে। কেউ কেউ ফেসবুক ও মেসেঞ্জারেও প্রবেশ করতে পারলেও কোনো বার্তা, ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ফেসবুক হালনাগাদ পোস্ট পাওয়া যাচ্ছে না। ঘুরেফিরে ঘণ্টাখানেক বা তার চেয়ে বেশি সময় আগে করা পোস্টে সামনে আসছে।
জিতু হোসেন নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মোবাইল ইন্টারনেট ব্যাবহারে সমস্যার মুখে পড়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ধীরগতির কারণে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে না। হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলতে গেলেও কল ড্রপ হচ্ছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মাহবুব রহমান নামের এক শিক্ষার্থী জানান, ওয়াই-ফাই ছাড়া মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে খুব সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট খুবই ধীরগতি। ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকবাল হোসেন নামের শিক্ষার্থী জানান, মোবাইল নেট নাই বললেই চলে। লেখা আছে ফোর-জি কিন্তু কোন কাজই হচ্ছে না। ভিপিএনের মাধ্যমে ফোনে খুবই ধীরগতিতে ফেসবুক-মেসেঞ্জার ব্যবহার করেছেন বলে জানান তিনি। কিন্তু মাঝে মধ্যে সেটাও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
দেশের ৯০ শতাংশের মতো মোবাইল ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী ফোর-জি ইনটারনেট ব্যবহার করে থাকেন।
এদিকে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ওপর পুলিশ, বিজিবি, র্যাবের হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনের প্লাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।
বুধবার (১৭ জুলাই) রাত ৮টার দিকে এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীরা এর আগে কয়েক দফায় ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেছেন। ওই সময় শিক্ষার্থীরা কেবল সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ দেখান।
তবে এবার নতুন কর্মসূচি সম্পর্কে এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা জানান, শুধুমাত্র হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না।