হ্যাকিংয়ের মুখে পড়েছিল চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই
বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঘটা বড় বড় হ্যাকিংয়ের ঘটনা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। সাধারণত প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের আতঙ্কিত না করতে বা তথ্য চুরি নিয়ে হলে সরকারের চাপ মোকাবিলায় তারা এমনটি করে থাকে। চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির বানিয়ে আলোচনায় আসে ওপেনএআই। প্রতিষ্ঠানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর চ্যাটবট তৈরি করে এআই নির্ভর প্রযুক্তির বিকাশে নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে।
২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ মেসেজিং সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করেছিল এক হ্যাকার। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংক্রান্ত প্রযুক্তির নকশা চুরির ঘটনা ঘটে তখন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালে হ্যাকিংয়ের মুখে পড়েছিল। অজ্ঞাত হ্যাকার প্রতিষ্ঠানটি অভ্যন্তরীণ এক বার্তা আদান-প্রদান ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করেছিল। ম্যাশেবলের তথ্যমতে, সেই হ্যাকার কর্মীদের আলাপ থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংক্রান্ত বেশকিছু প্রযুক্তির নকশা চুরি করেছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ডিভাইসের মাইক্রোফোনে কথা শুনে যেভাবে দেখায় বিজ্ঞাপন
প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা সেই মেসেজ সিস্টেমে চ্যাটজিপিটির সর্বশেষ মডেলের কাজ ও নকশা নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। অবশ্য হ্যাকার শুধু ডিসকাশন ফোরামে প্রবেশ করেছিল। ওপেনএআইয়ের মূল সিস্টেম বা চ্যাটজিপিটির কোনো সার্ভারে প্রবেশ করতে পারেনি।
হ্যাকিংয়ের ঘটনা যদি কোনো চীনা হ্যাকার ঘটায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তদন্তের মুখে পড়ার ভয় ছিল। এফবিআইসহ মার্কিন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কোনো সংস্থাকে তখন ওপেনএআই কোনো তথ্য জানায়নি। নিজেদের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও পরিচালনা পর্ষদকে হ্যাকিংয়ের ঘটনা জানানো হয়। তথ্য চুরি না হওয়ায় হ্যাকিংয়ের বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।