শিক্ষায় বরাদ্দ আরও কমে জিডিপির ১.৬৯ শতাংশ
চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে মোট ৬ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিক্ষায় মোট বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে ৯৪ হাজার ৭১১ কোটি টাকা, যা আগে ছিলো ৮৮ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা।
তবে প্রস্তাবিত এই বাজেটে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) অনুপাতে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের তুলনায় আরও কমেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে মোট বরাদ্দ জিডিপির তুলনায় ১ দশমিক ৬৯ শতাংশের কথা বলা হয়েছে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষাখাতে মোট বরাদ্দ ছিল জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ ছিল জিডিপির ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ২ দশমিক ০৮ শতাংশ।
যেকোন দেশের শিক্ষাখাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার পরামর্শ ইউনেস্কোর, যা প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি।
চলতি অর্থবছরের মোট বরাদ্দের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৭১০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করেছে সরকার। যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজেট বক্তব্যে বলেন, আগামী অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য ৪৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা বরাদ্দ নির্ধারণ করেছেন।
মাহমুদ আলী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিকরা সহায়ক হবে। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষায় সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশের সময় এ প্রস্তাব করেন।
এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।
৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত এই বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম 'সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার'। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।