১৯ মে ২০২৪, ১০:৪০

প্রথম এআই অলিম্পিয়াডে জাতীয় ক্যাম্পে ডাক পেলেন ১০ শিক্ষার্থী 

এআই অলিম্পিয়াডের ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচিত ১০ জন শিক্ষার্থী  © সংগৃহীত

‘আগামী বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ নতুন নতুন প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের যুগ পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিতে দক্ষ করার জন্য অলিম্পিড এ অংশগ্রহন প্রয়োজন।’ শনিবার (১৮ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত প্রথম বাংলাদেশ এআই অলিম্পিয়াডের সমাপনী পর্বে অতিথিরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

অলিম্পিয়াডে সকাল থেকে সারা দেশ থেকে আগত ও অনলাইন বাছাই পর্বে নির্বাচিত ৪৫ জন শিক্ষার্থী চারঘন্টাব্যাপী প্রতিযোগিতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চারটি সমস্যার সমাধান করেন। ফলাফলের ভিত্তিতে মোট ১০ জন শিক্ষার্থীকে জাতীয় কাম্পের জন্য নির্বাচন করা হয়। 

তারা হলো- চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের আবরার শহীদ ও মিসবাহ্ উদ্দিন ইনান, সাউথ ব্রিজ স্কুলের আদিব বিন কাদির, স্কলার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের আসহাবুল ইয়ামীন অর্জন, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের মো. মানজুম রহমান, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মোহাম্মদ সাদ, একাডেমিয়া স্কুলের রাফিদ আহমেদ, মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের এস এম সাবিব আব্দুলাহ্, সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তওসিফ ওয়াহিদ সুপ্রভ ও ধানমন্ডি গভ. বয়েজ হাই স্কুলের আরেফিন আনোয়ার।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, পিছিয়ে পড়ে না থেকে বিশ্বমানের সঙ্গে মিল রেখে কাজ করার কোন বিকল্প নেই। এআই প্রযুক্তিকে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌছে দিতে পারলেই বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পৌছে যাবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু বলেন, আজকের দিনের এ প্রজন্ম এক নতুন বাংলাদেশের সন্ধান দেবে, দেখাবে নতুন আশার আলো।

আগামী ২২ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত ঢাকায় জাতীয় কাম্পের মাধ্যমে নির্বাচিত এ ১০ জন থেকে চারজনকে নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিত এ দল আগামী ৯ থেকে ১৫ আগস্ট বুলগেরিয়ায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠেয় প্রথম আন্তর্জাতিক এআই অল্যম্পিয়াডে অংশ নেবে।

এর আগে সারা বাংলাদেশের নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনলাইন প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট এবং নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনলাইন গ্রুমিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সরাসরি অনুষ্ঠিত এ জাতীয় পর্বের বিজয়ীদের নিয়ে অনলাইনে আগামী ২১ থেকে ২২ মে গ্রুমিং সেশন, ২৩ থেকে ২৫ মে সিলেকশন ক্যাম্প এবং আন্তর্জাতিক টিম সিলেকশন টেস্ট আয়োজন করা হবে। ক্যাম্পে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পারফরমেন্সের পাশাপাশি তাদের বুদ্ধিমত্তার দক্ষতা যাচাই করে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ দল নির্বাচন করা হবে। 

উল্লেখ্য, আগামী ৯ থেকে ১৫ আগস্ট বুলগেরিয়ায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ সম্মানজনক প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বের আয়োজন করতে কান্ট্রি কোঅর্ডিনেশনের দায়িত্ব পায় বিডিওএসএন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের হাইস্কুলের ছেলে-মেয়েদের জন্য আন্তর্জাতিক এআই অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হয়।

আরো পড়ুন: পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন বাবর আলী

তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক বি এম মইনুল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাপনি পর্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিডিওএসএনের সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, রিভ সিস্টেমের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা রায়হান হোসেন, ই-জেনারেশন পিএলসির  পরিচালক ইমরান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পের পরামর্শক মামুনুর রশিদ, এটুআইয়ের পলিসি এনালিস্ট মো. আফজাল হোসেন সারোয়ার ও বিডিওএসএনের সাধারন সম্পাদক মুনির হাসান।

এ আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে রিভ চ্যাট, ব্রেইন স্টেশন ২৩, ই-জেনারেশন ও ইনটেলিজেন্ট মেশিন্স। এছাড়া সহযোগিতা করেছে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই), প্রথম আলো, এনএলপি পার্টনার গবেষণা ও উন্নয়নের  মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প এবং ম্যাগাজিন পার্টনার হিসেবে আছেন কিশোর আলো ও বিজ্ঞানচিন্তা। সহযোগিতায় ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার, বাইটস ফর অল, বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড, জেআরসি বোর্ড, ওয়ার্ল্ড রোবট অলিম্পিয়াড- বাংলাদেশ, বাংলার ম্যাথ এবং স্ক্র্যাচ বাংলাদেশ।