এক টাওয়ারে গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক সেবা দিবে রবি ও বাংলালিংক
এক টেবিলে-এক মঞ্চে বসে নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের চুক্তি করছে দেশের অন্যতম দুই মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও বাংলালিংক। শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস অনুষ্ঠানে অপারেটর দুটি তাদের নেটওয়ার্ক অবকাঠামো শেয়ারের সম্ভ্যবতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
নেটওয়ার্কের মান ও গতি বাড়ানোর মাধ্যমে দেশব্যাপী ফোর-জির প্রসার বাড়াতে এই যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে অপারেটর দুটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ডাক টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ইন্টারনেট সেবার গুনগত মান নিশ্চিত করতে এবার আসছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পলিসি।
দেশের বেসরকারী মোবাইল প্রতিষ্ঠান রবির আছে প্রায় ১৮ হাজার টাওয়ার আর বাংলালিংকের আছে ১৬ হাজার টাওয়ার। নতুন চুক্তির মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠানের মোট ৩৪ হাজার টাওয়ারের একটি শক্তিশালী সেবা পেতে যাচ্ছেন গ্রাহকেরা।
এ বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে রবি ও বাংলালিংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সময়োপযোগী ও গতিশীল উদ্যোগ দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সেবা ও দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হবে নেটওয়ার্ক শেয়ারের প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সম্ভ্যব্যতা যাচাই। প্রয়োজনীয় নীতিগত পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার পর নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর যৌথ ব্যবহার শুরু হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমাদের লক্ষ্য হলো সব গ্রাহকের জন্য শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ সংযোগ নিশ্চিত করা, যাতে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জিত হয়। এই ধরনের দূরদর্শী উদ্যোগের প্রতি সবসময় সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। শুক্রবার “ডিজিটাল উদ্ভাবন, টেকইসই উন্নয়ন” স্লোগানে প্রথমবারের মতন আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ দুই বিভাগকে একসাথে নিয়ে পালিত হলো বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস।
এসময় ডাক টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি বছরেই আসছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পলিসি। এটি কার্যকর হলে ইন্টারনেট সেবা দিতে গেলে অপারেটরদের সরকার নির্ধারিত ইন্টারনেট গতিসীমা অনুসরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দুটো সাবমেরিন ক্যাবেল, ছয়টি ইন্টার-টেরিস্টেরিয়াল ক্যাবেল ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন টেলিযোগাযোগ খাতে জলে, স্থলে ও অন্তরীক্ষে বিরাজ করছে। প্রতিমন্ত্রীর আশা প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদেই আকাশে উড়বে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২।