আগামী বছর ২৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসার পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
চলতি বছর বাংলাদেশে পাঠানো রেমিট্যান্স ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আগামী বছরও একই পরিমাণ রেমিট্যান্স আসবে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাংকের মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে পূর্বাভাস করা হয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৩ বিলিয়ন ডলার থাকবে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড ১২ লাখ ৪৬ হাজার কর্মী বিদেশে গেছে। গত বছরে ছিল ১১ লাখ ৩৫ হাজার। কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হলেও রেমিট্যান্স প্রবাহ ২২ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে আছে দু’বছর ধরে।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ব্যালান্স অভ পেমেন্ট সংকটের কারণে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি থাকবে অপরিবর্তিত। মুদ্রার অবমূল্যায়ন এবং বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা নীতির কারণে প্রবাসীদের কালোবাজারের সুবিধা নিতে এবং আনুষ্ঠানিক ও আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে অর্থ লেনদেনে উৎসাহিত হয়েছেন। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে এটি দেখা গেছে। এখন রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
আরো পড়ুন: এআইকে কাজে লাগিয়ে শত কোটির প্রতিষ্ঠানের মালিক ১৬ বছরের কিশোরী
বিশ্বব্যাংক বলছে, আগামী বছর উপসাগরীয় দেশগুলোয় কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার কর্মীদের। এ দেশগুলো বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রধান উৎস। গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকবে। তেলের দাম কম হওয়ায় আগামী বছরও দেশগুলোতে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের কর্মসংস্থান হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। আর বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ৭.২ শতাংশ বেড়ে ১৮৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে চলতি বছরেই। এর পুরোটাই আসতে পারে ভারতের হাত ধতে। দেশটি ১২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেতে পারে।