জিমেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে যা করবেন
ইন্টারনেটের এ যুগে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই জিমেইল ব্যবহার করেন। অনেক সময় অনেকেই তাদের জিমেইল আইডি তৈরি করে কিন্তু কয়েক সপ্তাহ বা মাস পরে তারা ভুলে যায় যে তাদের আইডি কী ছিল এবং এটি কী নামে তারা তৈরি করেছিল। আসলে ইমেল আইডিতে লগ ইন করার পরে, বারবার লগ ইন করার দরকার হয়না এবং সেই কারণেই ব্যবহারকারীরা অনেক সময় ভুলে যান।
তবে এক্ষেত্রে সমাধান দিয়েছে গুগল। কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করলে সহজেই আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড রিকভার করতে পারবেন।
জিমেইল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড রিকভারের উপায়
* প্রথমে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের লগইন পেজে যেতে হবে। এরপর ‘ফরগট ইমেইল?’ লেখা লিঙ্কে ক্লিক করুন।
* আপনার জিমেইল আইডি লিখে ‘রিকভার পাসওয়ার্ড’ আপশনে ক্লিক করতে হবে।
* জিমেইল অ্যাকাউন্ট রিকভার করার জন্য আপনাকে দুটি অপশন দেওয়া হবে। এর মধ্যে একটি অপশনে ‘মোবাইল ফোন নম্বর’ লেখা থাকবে। এর সহায়তায় আপনার ফোনে যে সিমটি রয়েছে, সেই নম্বরের মাধ্যমে আপনি পাসওয়ার্ড উদ্ধার করতে পারবেন। অন্য অপশনে ইমেইল অ্যাড্রেস লেখা থাকবে। আপনি সেই ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়ে অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবেন।
* আপনি যদি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টটি একটি মোবাইল ফোন নম্বর বা অন্য একটি ইমেইল অ্যাড্রেসের সঙ্গে লিঙ্ক করে থাকেন, তাহলেই আপনি ওপরের ওই দুই অপশনের একটি ব্যবহার করে আপনার পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
* মোবাইল ফোন নম্বর বা ইমেইল অ্যাড্রেস না দেওয়া থাকলে আপনাকে গুগল অ্যাকাউন্টের সিকিওরিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আপনি যদি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের জন্য সিকিওরিটি প্রশ্ন এবং উত্তর সেট করেন, তাহলে আপনি সঠিক উত্তর দিয়ে আপনার পাসওয়ার্ড রিকভার করতে পারবেন।
* সিকিওরিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য, জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরির সময় আপনার দেওয়া উত্তরগুলো মনে রাখতে হবে। সিকিওরিটি প্রশ্নের উত্তর মনে না থাকলে আপনি গুগল অ্যাসিস্টের সাহায্য নিতে পারেন। গুগল অ্যাসিস্ট আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: ভয়েস মেসেজে ‘ভিউ ওয়ান্স’ ফিচার আনলো হোয়াটসঅ্যাপ
যদি পাসওয়ার্ড মনে রাখতে সমস্যা , তবে লাস্টপাসের মতো থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারে। গুগল তাদের ক্রোম ব্রাউজারেও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে রাখার সুবিধা দেয়। অ্যাপলের ‘আইক্লাউড কিচেইন (iCloud Keychain) নামে এ ধরনের সুবিধা আছে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, জিমেইলের নিরাপত্তার জন্য জটিল পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি এতে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন যুক্ত করে রাখতে পারেন। পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে অক্ষর, সংখ্যা ও চিহ্ন মিলিয়ে সহজে অনুমান করা যায় না—এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।