দেশের বাইরেও সেবা দিচ্ছে পাবনার ‘টেকডটস আইটি’
বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে সোশ্যাল মিডিয়াসহ অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম নিয়ে যেসব এজেন্সি কাজ করছে তার মধ্যে অন্যতম ট্রিলিক্স ডিজিটাল এবং টেকডটস আইটি। এ এজেন্সি দু’টি মূলত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
এজেন্সি দু’টির প্রতিষ্ঠাতা ফাত্তাহ আল হাসান। তার বাড়ি পাবনা জেলা সদরে। বাবা মো. হাসান তৌহিদ একজন ব্যবসায়ী ও মা মাওয়া চৌধুরী গৃহিণী। তিনি পাবনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১৯ সালে এসএসসি ও পাবনা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২১ সালে এইচএসসি পাশ করেন।
ফাত্তাহ সোশ্যাল মিডিয়া সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে একজন বাংলাদেশি উদ্যোক্তা, লেখক, বাদ্যযন্ত্র শিল্পী ও সোশ্যাল মিডিয়া সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন।
ফাত্তাহ জানান, তারা মূলত ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, থ্রি ডি ডিজাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন সেবা, সাইবার নিরাপত্তা, অনলাইন বুক ডিস্ট্রিবিউশন, ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশনসহ এ ধরনের সব কাজ করেন। ভবিষ্যতে রোবোটিক্স এবং প্রোগ্রামিং নিয়েও কাজ করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তিনি।
'ট্রিলিক্স ডিজিটাল’ এবং ‘টেকডটস আইটি’ অনলাইনে বেশ আগে থেকেই কমবেশি কাজ করলেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এজেন্সি দুটির যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। করোনা মহামারিতে ঘরে বসেই যখন নিত্যদিনের প্রায় সব কাজ অনলাইনে চলছিল, সে সময়ে কিছুটা প্রয়োজনের তাগিদেই প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ট্রিলিক্স ডিজিটাল এবং টেকডটস আইটি তাদের কাজ ফেসবুক পেজ এবং হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে করে থাকে। এজেন্সি দুটি থেকে এখন পর্যন্ত বহু মানুষ সার্ভিস নিয়েছেন। তারা সকলে শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ট্রিলিক্স ডিজিটাল এবং টেকডটস আইটিকে।
প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নেওয়া ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমার ছোট্ট একটি অনলাইন পেজ আছে। কিন্তু সেটি হ্যাক হয়ে যায়। এরপর সে পেজ ব্যবহার করে অন্য দেশের হ্যাকাররা। তারা বিভিন্ন বাজে পোস্ট দিয়ে আমার সব কাস্টমার হারিয়ে যায়। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ করার পর তারা দ্রুতই আমার পেজ ফিরিয়ে দেয়। এছাড়া পেজ হেল্থ ও নতুন কিছু ইস্যু ছিল। সব খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক করে দেয় তারা।’
ফাত্তাহ আল হাসান বলেনন, আমরা শুধু দেশেই না বরং দেশের বাইরেও আইটি সেক্টরে কাজ করে থাকি। বর্তমানে আমাদের শ্রীলংকা, ইন্ডিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্লায়েন্ট রয়েছে। এ দেশগুলো ছাড়াও কোম্পানি দু’টি যেন পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে যায়, সেই লক্ষ্যে আমি ও আমার পুরো টিম কাজ করে যাচ্ছি।