টুইটারের নতুন নিয়ম, খবর পড়তেও গুনতে হবে টাকা
টুইটারে শুধু ছবি, ভিডিও দেখার পাশাপাশি অনেকে অনেক খবরও পড়েন। সংবাদমাধ্যমগুলোও তাদের সংবাদ টুইটারে নিয়মিত শেয়ারও করেন। কিন্তু ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম আনছে টুইটার। টুইটারে প্রকাশিত/শেয়ারকৃত সংবাদের প্রতি আর্টিকেল ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে চার্জ করার অনুমতি দিয়েছেন ইলন মাস্ক। খবর রয়টার্স।
শনিবার টুইটারের সিইও ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘আগামী মাস থেকে সংবাদ প্রকাশকদের অর্থাৎ মিডিয়া হাউসগুলোকে প্রতিবেদন পড়ার জন্য ব্যবহারকারীর কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হবে। যদি কোন ব্যবহারকারী কোন সংবাদমাধ্যমের মাসিক গ্রাহক না হন, তাহলে প্রতি প্রতিবেদন পড়ার জন্য তার কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আদায় করা হবে। সে ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের মাসিক গ্রাহকের চাঁদার চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে।
এর আগে শুক্রবার, মাস্ক বলেছিলেন যে টুইটার প্রথম বছরের পরে কন্টেন্ট সাবস্ক্রিপশনে ১০% কাট নেবে। তবে যে কোম্পানি প্রথম ১২ মাসের জন্য কাটবে না এই তাদের মধ্যে দীর্ঘ-ফর্ম পাঠ্য এবং দীর্ঘ ভিডিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই সুবিধা চালু হলে সংবাদমাধ্যম এবং পাঠক উভয়পক্ষেরই সুবিধা হবে বলে মনে করেন মাস্ক। ইতোমধ্যেই একাধিক সংবাদমাধ্যম তাদের নিজস্ব বিশেষ প্রতিবেদন পড়ার জন্য ন্যূনতম মূল্য দিয়ে সাবস্ক্রিপশন চালু দাবি করেছে।
খবর পড়ার জন্য ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের পেছনে মাস্কের যুক্তি হলো, ব্যবহারকারীরা খবর পড়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে যে অর্থ প্রদান করবেন সেই অর্থ ভালো খবর বা প্রতিবেদন তৈরির পিছনে ব্যবহার করবেন প্রকাশকরা। তাতে পাঠকই উপকৃত হবেন এবং তথ্য নির্ভর ও প্রমাণ সমৃদ্ধ লেখার সুযোগ পাবেন।
গত বছর অক্টোবরে টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দ্রুত বেশ কিছু পণ্য এবং সাংগঠনিক পরিবর্তন এনেছেন মাস্ক। সংস্থাটি একটি অর্থপ্রদানের পরিষেবা হিসাবে টুইটার-ভেরিফাইড ব্লু টিক চালু করেছেন এবং কর্মচারী বেস প্রায় ৮০% কমিয়ে ফেলেছেন।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ১৭ বছর পর টুইটারের লোগো পরিবর্তন করেছেন মাস্ক। পাখির পরিবর্তে ডগি'র ছবি এনেছেন তিনি।
টুইটারের নতুন লোগোতে যে ডগির মিম ব্যবহার করা হয়েছে তা আসলে ডগিকয়েন নামে এক ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠানের লোগো। যা ২০১৩ সালে ওই প্রতিষ্ঠান ‘ঠাট্টা’ হিসেবে তৈরি করেছিল।
গত বছরের অক্টোবরের ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে টুইটার কেনার পর একাধিক পরিবর্তন করেছেন মাস্ক। এর মধ্যে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। এখন দেখার বিষয়- এই সিদ্ধান্ত কীভাবে নেন নেটিজেনরা।