পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়াতে ফুডপ্যান্ডার ‘গ্র্যান্ড ইফতার টেকঅ্যাওয়ে ফেস্ট’

পবিত্র রমজান মাসে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের নিয়ে একসাথে ইফতার করার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘গ্র্যান্ড ইফতার টেকঅ্যাওয়ে ফেস্ট’ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ‘ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ’। আয়োজকরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রিয়জনদের সাথে নিয়ে ইফতারে ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু খাবারের আয়োজনের সাংস্কৃতিক পরম্পরা রয়েছে। ফুডপ্যান্ডার এ আয়োজন সে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে।   

ফুডপ্যান্ডার এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, প্রথম আলো ডট কম, বিকাশ, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড ও প্রাণ ফ্রুটো। ক্রেতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এ ক্যাম্পেইনে যুক্ত হয়েছে রাজধানীর জনপ্রিয় বিভিন্ন রেস্তোরাঁকে। বনানীর ডিএনসিসি ফুডকোর্ট ও ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ার, এই দু’টি নির্দিষ্ট ভেন্যুতে আয়োজন করা হয়েছে এ উৎসব। 

ফুডপ্যান্ডার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বনানী ও ধানমন্ডি কিংবা নিকটবর্তী এলাকার গ্রাহকরা এ উৎসবে অংশগ্রহণকারী রেস্তোরাঁ থেকে ইফতারের জন্য তাদের পছন্দের খাবার ভেন্যু থেকে সংগ্রহ করা কিংবা বাসায় বসে ডেলিভারি নিতে পারবেন। এ উৎসবে মিলবে গরম ধোঁয়া ওঠা হালিম, বিরিয়ানি বা ঘিয়ে ভাজা মচমচে জিলাপির মতো রোজার ঐতিহ্যবাহী ও মুখরোচক খাবারের সমাহার। 

ইফতারের এ আয়োজন নিয়ে দুপুর ২টা থেকেই ফুডপ্যান্ডা অ্যাপে লাইভ হবে। ফুডপ্যান্ডার আয়োজনে ডিসেন্ট পেস্ট্রি শপ, জয়পুর সুইটস, বার-বি-কিউ টুনাইট, হাজি নান্না’র মতো ঐতিহ্যবাহী রেস্তোরাঁ ছাড়াও রয়েছে তার্কা, ট্রি-স্টেট ইটারি ও ইফতারওয়ালা’র মতো নতুন ও জনপ্রিয় সব রেস্তোরাঁ। সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ও স্বাচ্ছন্দ্যময় অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে জনপ্রিয় সব রেস্তোরাঁ নিয়ে এ ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হয়েছে।

তবে, যারা ইফতার স্টলে গিয়ে সরাসরি খাবার কিনতে চান, কিন্তু তাদের ফোনে ফুডপ্যান্ডা অ্যাপ ইনস্টল করা নেই, তাদের জন্য ভেন্যুতে নির্ধারিত স্বেচ্ছাসেবীরা থাকবেন। যারা ভেন্যু থেকেই অ্যাপ ইনস্টল করা ও খাবার অর্ডার করে দেয়ায় গ্রাহকদের সহযোগিতা করবেন। 

এ নিয়ে ফুডপ্যান্ডা’র হেড অব মার্কেটিং মানিষা সাফিয়া তারেক জানিয়েছেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় ফুড ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাহকদের প্রয়োজন পূরণ করাকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।  রমজান মাসজুড়ে কমিউনিটির সবাইকে একত্রিত করতে এ ধরনের আয়োজনের আলাদা সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে। আমরা এর অংশ হতে চেয়েছি; সেজন্য আমরা গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে তাদের পছন্দের সেরা ইফতার নিয়ে হাজির হয়েছি। গ্রাহকরা এখন তাদের পছন্দের ইফতার ভেন্যু থেকেই পিকআপ করতে পারবেন; অথবা খুব সহজেই বাসায় বসে ডেলিভারি নিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।