নতুন লোগোয় পুরনো গৌরব ফিরে পাওয়ার আশা নোকিয়ার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:১৭ AM , আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৪৬ AM
বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নোকিয়া নিজেদের বিজনেস মডেল বা ব্যবসার ধরনে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি ৬০ বছর পর নতুন করে নিজেদের ব্র্যান্ডের লোগোতে ফিনল্যান্ডভিত্তিক ঘোষণা দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে রোববার নোকিয়ার নতুন লোগো প্রকাশ করা হয়েছে বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। আগের লেগোর নীল রঙ বাদ দিয়ে নতুন রঙ আনা হয়েছে। ইংরেজি বানান ‘Nokia’-তে থাকা পাঁচটি বর্ণেই পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন লোগোয় পুরনো গৌরব ফিরে পাওয়ার আশায় ৬০ বছর পর নোকিয়া নিল এই সিদ্ধান্ত।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্যের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় নোকিয়া। স্পেনের বার্সেলোনায় শুরু হতে যাওয়া ‘মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ২০২৩’ সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানটি এ ঘোষণা দেয়।
প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পুরনো ভাবধারা থেকে এবার বেরিয়ে আসতে চলেছে নোকিয়া। দীর্ঘদিন পর আইকনিক লোগো পরিবর্তন করল কোম্পানি।
নোকিয়া বলছে, এত দিন ধরে প্রতিষ্ঠানটির যে মূল ব্যবসায়িক ধরন ‘বিটুসি’, অর্থাৎ বিজনেস টু কনজিউমার—তা থেকে পরিবর্তন করে ‘বিটুবি’ ধরন, অর্থাৎ বিজনেস টু বিজনেস হতে যাচ্ছে। তিনটি ধাপে নকিয়াকে একটি টেকসই ও লাভজনক উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয় মোবাইল ফোন তৈরি ও বিক্রির বাইরে নোকিয়া এখন প্রাথমিকভাবে অন্যান্য প্রযুক্তি সরঞ্জামের দিকে যাচ্ছে। অন্যান্য টেলিকম কোম্পানির কাছে সরঞ্জাম বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে নকিয়ার মূল শক্তি থাকবে ছয়টি। এগুলো হলো প্রযুক্তিগত নেতৃত্বের মাধ্যমে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঙ্গে নিয়ে উন্নতি করা, নিজেদের গ্রাহক শ্রেণির মাঝে বাজারের দখল বাড়ানো, অব্যাহতভাবে নিজেদের পোর্টফোলিও বাড়িয়ে যাওয়া, অর্থাৎ গ্রাহক সংখ্যা বাড়িয়ে যাওয়া, নকিয়ার ডিভাইস বাজারের বাইরেও নকিয়ার মেধাস্বত্ব থেকে আয় বৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি গবেষণায় বিনিয়োগ, নতুন বিজনেস মডেল বাস্তবায়ন করা। যেমন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হওয়া এবং বাজারে একটি বিশ্বাসযোগ্য সেবা প্রদানকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে নতুন চার ফিচার, ছবি পাঠানো যাবে ইচ্ছেমতো
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পেক্কা লুন্ডমার্ক বলেন, উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনে ব্যবসা, ইন্ডাস্ট্রি এবং সামাজিক পরিবর্তনে ডিজিটালের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখি। বাজারে থাকা আমাদের শীর্ষ নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি সব খাতের গ্রাহক ও পার্টনারদের এখন দরকার। আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ দেখি, সেখানে নেটওয়ার্ক শুধু মানুষকে সংযুক্ত করবে না; সেই নেটওয়ার্ক ডিজিটালাইজেশনের সুযোগও বাড়িয়ে দেবে।
লুন্ডমার্ক বলেন, 'আমরা গত বছর বেশ ভালো করেছি। ব্যবসা বেড়েছে প্রায় ২১ শতাংশ, যা আমাদের বিক্রয়ের প্রায় ৮ শতাংশ অর্থাৎ মোটামুটিভাবে ২ বিলিয়ন ইউরোর বেশি। যত শিগগির সম্ভব এটিকে আমরা দশকের ঘরে নিয়ে যেতে চাই।' আমরাই নোকিয়া। কিন্তু পৃথিবী আমাদের আগে যেভাবে দেখেছে, সেই নোকিয়া না।