আইফোনের প্রথম সংস্করণের নিলামে দাম উঠতে পারে ৫০ হাজার ডলার
২০০৭ সালের ৯ জানুয়ারি ম্যাকওয়ার্ল্ড এক্সপোর মঞ্চে স্টিভ জবস তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে নাটকীয় স্বরে দর্শকদের দিকে তাকিয়ে বলেছেন, ‘আজ আমরা সবাই মিলে ইতিহাস তৈরি করব’। এবার নিলামে উঠছে সেই ইতিহাসের একটি ছোট্ট অংশ।
ইতিহাস তৈরি করা সেদিনের সেই জিনিসটি ছিল প্রথম জেনারেশনের আইফোন। ১৬ বছর আগের সেই আইফোন যারা কিনেছিলেন, তাদের প্রায় সবাই সম্ভবত এখন ব্যবহার করছেন ফোনটির সর্বশেষ সংস্করণ, আর প্রথম আইফোনটি তারা ছেড়ে দিয়েছেন অনেক আগেই।
কিন্তু এদের মাঝেও ব্যতিক্রমী ছিলেন একজন; তিনি ট্যাটু শিল্পী কারেন গ্রিন। উপহার হিসেবে পাওয়া প্রথম সংস্করণের আইফোনটি কখনোই ব্যবহার করেননি তিনি। কারেন গ্রিন প্রথম সংস্করণের আইফোনের প্যাকেটটিই কখনো খোলেননি।
তখন সাড়ে তিন ইঞ্চি ডিসপ্লের ফোনে ছিল দুই মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, চার আর আট জিবি স্টোরেজের অপশনের প্রথম সংস্করণের আইফোনটির দাম ছিল পাঁচশ ৯৯ ডলার।
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ঘোষণা হলেও বছরের মাঝামাঝি বাজারে আসে ফোনটি। এতে ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধার সঙ্গে আইটিউনসে গান শোনার ব্যবস্থা ছিল। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি হচ্ছে ওই ফোনে কোনো অ্যাপ স্টোর ছিল না। ফোনটি তখন বাজারে এসেছিল এটিঅ্যান্ডটির প্যাকেজের অংশ হিসেবে।
ফোনটি নিয়ে কারেন বলেছিলেন ২০১৯ সালে টেলিভিশন শো ‘দ্য ডক্টর অ্যান্ড দ্য ডিভা’তে। তার ধারণা এর দাম উঠতে পারে প্রায় পাঁচ হাজার ডলার। এর আগে এলজিসি অকশনস গত অক্টোবরেই নিলামঘর
একই মডেলের একটি আইফোন নিলাম করেছে, তখন তার দাম উঠেছিল ৩৯ হাজার ডলার। একই নিলামঘরে কারেনের ফোনটির অনুমান এর দাম ৫০ হাজার ডলার উঠার আশা করা হচ্ছে। যদিও, এর শুরুর বিড ধরা হয়েছে আড়াই হাজার ডলার থেকে।
তবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি সিএনএন-এর অনুরোধের পরও ক্যারেন গ্রিন বা এলজিসি অকশনস। অন্যদিকে এ নিলামের ফলাফল জানতে হলে অ্যাপলভক্তদের অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।