ইভ্যালির এমডি রাসেলের মুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন গ্রাহক-মার্চেন্টরা

কনজ্যুমারস অব ইভ্যালি'র ব্যানারে মানববন্ধন
কনজ্যুমারস অব ইভ্যালি'র ব্যানারে মানববন্ধন  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির গ্রাহক-মার্চেন্টরা। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে নিঃশর্ত অথবা শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড অব ডিরেক্টরে রাখতে এই হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানী শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে 'কনজ্যুমারস অব ইভ্যালি'র ব্যানারে এক মানববন্ধনে তারা এসব দাবি জানান। দাবি মানা না হলে তারা লাগাতার মানববন্ধন ও আমরণ অনশনেরও ঘোষণা দেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গ্রাহক ও মার্চেন্টরা জানান, ৭০ লাখ গ্রাহক ও ৩০ হাজার মার্চেন্টের টাকা ইভ্যালিতে আটকে আছে। আটকে থাকা টাকার অ্যাকসেস গেটওয়ে রাসেল ভাই ছাড়া অন্য কাউকে দেবে না। রাসেল ভাই ছাড়া তাদের টাকা কেউ দিতে পারবে না। এজন্য নিঃশর্তে অথবা শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেওয়া হোক।

আরও পড়ুন: শিক্ষার সঙ্গে আপসের সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী

সবুজ হোসেন নামে একজন জানান, আমরা যারা গ্রাহক এবং মার্চেন্ট আছি তারা চেয়েছিলাম রাসেল ভাইয়ের মুক্তি এবং তাকে নিরাপদ রাখা। কিন্তু একটি গোষ্ঠী চায়নি। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশের ই-কমার্সকে ধ্বংস করতে। গ্রাহক ও মার্চেন্ট উপকৃত হোক সেটা তারা চায়নি। একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে না। তার কোনো অপরাধ নেই।

মাজেদুর রহমান নামে এক গ্রাহক জানান, রাসেল ভাইয়ের কোনো অপরাধ নেই। অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তারা রাসেল ভাইকে জেলে আটকে রেখেছে। অবিলম্বে রাসেল ভাইয়ের মুক্তি দিতে হবে।

ইভ্যালির গ্রাহক শিবলী নোমানী জানান, রাসেল ভাই গরীব দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে, মানুষকে ব্যবসা করার সুযোগ দিয়েছে। আমরা ডিসকাউন্টে পণ্য কিনেছি এটা কোনো অপরাধ নয়। হাত পা বেঁধে দিলে যেমন কেউ সাঁতার কাটতে পারে না তেমনি রাসেল ভাই ছাড়া কেউ টাকা পাবে না। তিনি ছাড়া কেউ ইভ্যালি চালাতে পারবে না।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে ২৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে একজন গ্রাহক ইভ্যালির রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। এ মামলায় বর্তমানে রাসেল কারাগারে রয়েছেন। আর তার স্ত্রী শামীমা গত ৬ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence