প্রবাসী আয়ে সুবাতাস, ২১ দিনে এলো ২০০ মিলিয়ন ডলার
চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে এসেছে ২০০ কোটি ৭২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রবাসী আয়ের এই জোরালো প্রবাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মোট মজুত বা রিজার্ভ গত সোমবার দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলারে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৬ কোটি ডলারে। দীর্ঘদিন পর বিপিএম হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ দুই হাজার কোটি ডলার ছাড়াল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ডিসেম্বরের প্রথম ২১ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬১ কোটি ৩১ লাখ, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৭৩ লাখ, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৩১ কোটি ১৬ লাখ এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, অক্টোবরে ২৪০ কোটি (২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন) এবং নভেম্বরে ২২০ কোটি (২ দশমিক ২০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ হাজার ৩৯২ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ ২ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ। দেশের ইতিহাসে রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।
প্রবাসী আয় হলো দেশে ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না অথবা কোনো দায়ও পরিশোধ করতে হয় না। রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতেও ডলারের প্রয়োজন হয়। ফলে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশে ডলারের মজুতও দ্রুত বাড়ে।