২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৮

আটকে গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের এমডি নিয়োগ কার্যক্রম

  © সংগহীত

পদ্ধতিগত জটিলতায় আটকে গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না নেওয়ায় এক সপ্তাহেও বাস্তবায়ন হয়নি এসব ব্যাংকের এমডি নিয়োগ কার্যক্রম। ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

জুলাই আন্দোলনের পর ব্যাংকিং খাতে আনা হয়েছে নানা সংস্কার। পরিবর্তন করা হয়েছে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। একই সাথে আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শীর্ষ কর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বেশিরভাগ ব্যাংকে চেয়ারম্যান নিয়োগ হলেও আটকে আছে এমডি নিয়োগ। ১৭ অক্টোবর পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক ও চারটি বিশেষায়িত ব্যাংকের এমডি নিয়োগ দেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তবে সুপারিশের পরও আটকে যায় রূপালী ব্যাংকের এমডি নিয়োগ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিতে উদ্যোগ নেওয়া উচিত, বলছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জাহিদ হোসাইন বলেন, কৃষিতে অর্থায়ন যেন আরও সহজে করা যায় সে লক্ষ্যে কাজের গতি আরও বাড়াতে হবে। এ খাতে সহজে অর্থায়ন করা হলে খুব সহজেই তা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কাজে আসবে।

আরও পড়ুন: দুর্বল ছয় ব্যাংক পেল ১৬৪০ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা

নিয়ম অনুযায়ী, এমডি নিয়োগের প্রজ্ঞাপনের পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বোর্ডের অনুমোদন নিতে হয়। আবেদন করতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংকে। তবে এখন পর্যন্ত সোনালী ছাড়া কোনো ব্যাংকের আবেদন জমা পড়েনি। তাই যোগ দেননি কোনো এমডি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে আবেদনগুলো পায় সেগুলো এমডি হওয়ার যে যোগ্যতা রয়েছে সেই ফ্রেমে বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে। এরপর সেগুলো চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ১৭ তারিখে সরকার এই নিয়োগ দিলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ পর্যন্ত একটি আবেদনপত্র এসেছে। সেটি শুধু সোনালী ব্যাংকের জন্য। আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যাংকগুলোর এমডিদের চুক্তি বাতিল করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এতে এমডি শূন্য হয়ে পড়ে সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বিডিবিএল ও বেসিক ব্যাংক। শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের পাশাপাশি কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ যোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়।