দেশে চালু হচ্ছে টাকা-রুপির ডেবিট কার্ড
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে টাকা-রুপির ডেবিট কার্ড চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত ডলার সাশ্রয়ী করার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কার্ড দিয়ে দেশের ভেতরে টাকা দিয়ে কেনাকাটাসহ বিভিন্ন বিল পরিশোধ করা যাবে এবং পাশাপাশি ভারত ভ্রমণের সময় রুপিতে খরচ করার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা।
রবিবার (১৮ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সময় এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
গভর্নর বলেন, আমরা টাকার একটি পে-কার্ড চালু করছি। এটাকে ভারতের রুপির সঙ্গে সংযুক্ত করে দেব। এ কার্ড থাকলে গ্রাহকরা বাংলাদেশে ডেবিট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। যেকোনো কেনাকাটা করতে পারবেন। আবার যখন ভারতে যাবেন তখনও এ কার্ড দিয়েই ভ্রমণ কোটায় ১২ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি কমাতে সুুদের হার বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
‘ভ্রমণে গিয়ে দুইবার মানি চেঞ্জে যে লস হচ্ছে, তা আর হবে না।’ অর্থাৎ ভ্রমণে যেতে হলে প্রথমে টাকা থেকে ডলারে কনভার্ট করতে হয়, পরে ভারতে গিয়ে ডলার রুপিতে কনভার্ট করতে হয়। টাকার পে-কার্ড নিলে দুইবার মানি চেঞ্জ করতে হবে না। এতে করে কমপক্ষে ৬ শতাংশের মতো খরচ কমবে বলে জানান গভর্নর।
আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘ভারতে প্রতি বছর অনেক বাংলাদেশি পর্যটক ঘুরতে যান। তাদের জন্য এ কার্ড অনেক সুবিধাজনক হবে। এতে দেশের অনেক ডলার বেঁচে যাবে। এটা কারেন্সি সোয়াপ হবে না। কারেন্সি সোয়াপ হলো এক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্য দেশের কেন্দ্রী ব্যাংক থেকে যে ডলার ধার করে। এখানে গ্রাহক লেনদেন করবে।’
গভর্নর আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লেনদেনের একটি অংশ নিজ নিজ মুদ্রায় নিষ্পত্তি করতে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। এ চুক্তির লক্ষ্য ডলারের রিজার্ভের ওপর চাপ কমানো। ভারত থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় আসে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার; এই পরিমাণ বাণিজ্য লেনদেন রুপিতে নিষ্পত্তি করা হবে।