দেশে বাড়ছে কোরিয়ান ফুডের বাজার, আমদানি নীতি সহজ করার দাবি ব্যবসায়ীদের
দেশের বাজারে বাড়ছে কোরিয়ান ফুডের চাহিদা। তবে এক্ষেত্রে আমদানি নীতি বড় বাধ বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর এক হোটেলে ‘কে-ফুড এক্সপোর্ট প্রমোশন’ সেমিনারে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আমদানিকারকরা।
কোরিয়া দূতাবাস ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফরেন অ্যান্ড ইমপোর্ট ফুড সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফিসা) যৌথ আয়োজনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মূলত দ্রুত বর্ধনশীল বাংলাদেশের বাজারে কোরিয়ান খাদ্য পণ্যের ক্রমবর্ধমান সুযোগ খুঁজতে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে খাদ্য খাতে শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক সহজ করতে কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা এবং শীর্ষস্থানীয় শিল্প বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হন।
আরও পড়ুন: আইন লঙ্ঘনে ১০ লাখ টাকার জরিমানা ৫০ লাখ হচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, এই অনুষ্ঠানটি কোরিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে খাদ্য খাতে সহযোগিতার নতুন সুযোগ তৈরি হবে, কারণ বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান খাবার উল্লেখযোগ্যভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। তিনি বলেন, সরবরাহের দিক থেকে, কে-ফুড উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। কোরিয়ার কৃষি, খাদ্য ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতে, কৃষি-খাদ্য এবং সংশ্লিষ্ট রপ্তানি ২০২৪ সালে ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এই ক্ষমতা, গুণমান, নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা এবং হালাল সম্মতি বাংলাদেশের গতিশীল বাজার এবং পেশাদার বিতরণ খাতের সাথে সহযোগিতার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করেছে।
সেমিনারে বাফিসা সভাপতি মোহাম্মদ বোরহান ই সুলতান বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ান খাবারের চাহিদা বাড়ছে। তবে আমদানির শুল্কনীতি সহজ না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন না। সরকারের উচিত এই বিষয়ে নজর দিয়ে আমদানি নীতি সহজ করা।
সেমিনানে বাফিসা সদস্যরাসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।