৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩০

বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন আমদানির ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম মানতে হবে

মোবাইল ফোন আমদানির ক্ষেত্রে করণীয়  © সংগৃহীত

দেশের বাজারে বর্তমানে কমিশনের নিবন্ধিত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের চাহিদার বেশিরভাগ মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন করে থাকে। পাশাপাশি কমিশনের নিবন্ধিত ভেন্ডররা অল্প কয়েকটি মডেলের হ্যান্ডসেট আমদানি করে, যেগুলো দেশে উৎপাদন করা সম্ভব নয়। হ্যান্ডসেট উৎপাদন ও আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নির্ধারিত শর্ত ও বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছে।

বিটিআরসি জানিয়েছে, মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন ও আমদানির ক্ষেত্রে কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশিকা অনুসরণ বাধ্যতামূলক। উৎপাদন বা আমদানিকৃত প্রতিটি হ্যান্ডসেট বাজারজাতের পূর্বেই নির্দিষ্ট ফরম্যাটে প্রতিটি ডিভাইসের IMEI নম্বর কমিশনে জমা দিতে হবে। জমা না দিলে বৈধভাবে উৎপাদিত বা আমদানিকৃত হ্যান্ডসেটও দেশে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারবে না।

একই সঙ্গে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট বিক্রেতাদের জন্যও নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি। বিক্রয়কাজে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎপাদনকারী বা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে হ্যান্ডসেট গ্রহণের পূর্বে IMEI যাচাই করতে হবে। ফেক বা নকল IMEI যুক্ত কোনো হ্যান্ডসেট, অর্থাৎ যেগুলো বিটিআরসির ডাটাবেইজে নেই, সেগুলো বিক্রয় করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ নকল বা ভুয়া IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট দেশের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে কোনোভাবেই সংযুক্ত হতে পারবে না।

বিটিআরসি জানিয়েছে, দেশীয় উৎপাদিত ও আমদানি করা ফোনের নিরাপদ ও বৈধ বাজার নিশ্চিত করতেই এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তা জানান, বিধি মানা না হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি আইনি জটিলতার মুখোমুখি হবে।