১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৫০

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা

প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এক হাজারের কম হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে এই মন্তব্য করেন জ্বালানি উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, দেশের স্বল্পমেয়াদি জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে সিলিন্ডারের বাজার মূল্য এক হাজার ২০০ টাকার বেশি হওয়ায় শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা যথাযথ সুবিধা পাচ্ছেন না। অথচ এর দাম ১ হাজার টাকা মধ্যে হওয়া উচিত।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ১২০০ টাকার এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হয় ১৪০০ টাকায়। ব‍্যবসায়ীদের এটার দায় নিতে হবে। দায়-দায়িত্বহীন ব‍্যবসা তো চলতে পারে না। জ্বালানি সংকটে এলপিজি একটা বড় সমাধান হতে পারে। বড় সমস্যা হলো এলপিজির দামটা বেশি। এটা মূলত বেসরকারি খাতে সরবরাহ হয়। এলপিজির দামটা একটা চ‍্যালেঞ্জ। তবে ব‍্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল হতে হবে। অতিরিক্ত মুনাফা করে সম্পদের পাহাড় গড়ে বিদেশে টাকা পাচার করার মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জ্বালানি নিশ্চিত না করেই চাহিদার অতিরিক্ত বিদ‍্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। গ‍্যাস খাতে অসংখ্য অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এসব অপকর্ম করেছেন রাজনীতিবিদেরা।

বাজারে বাড়তি দামে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ‍্যাস (এলপিজি) বিক্রি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে অভিযান চালানো হবে বলেও জানান তিনি।

দেশে জ্বালানি অনুসন্ধান কাজ বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) জন‍্য নতুন রিগ কেনা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত উন্নতি সন্তোষজনক নয়। এসব কারণে বাধ‍্য হয়ে চড়া দামের এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এলএনজি রূপান্তরের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন এফএসআরইউ চেষ্টা করা হচ্ছে। এগুলো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ অন‍্য খাতে কীভাবে এলপিজি ব‍্যবহার করা যায়, সেটা বের করতে হবে।