২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:০৬

ইসলামী ব্যাংকের মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতের অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ৩ কর্মকর্তা  © সংগৃহীত

কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী ব্যাংকের তিনজন কর্মকর্তা। আজ রবিবার সন্ধ্যার পর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই অভিযোগ করেন।

কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিতে কর্মরত কর্মকর্তাদের ওপর যে নির্যাতন এবং জুলুম চলছে তার কিছুটা ধারণা আপনার জাতির কাছে পৌঁছে দেয়ায় আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। প্রশাসন পরীক্ষার কথা বললে, আমরা সর্বাত্মকভাবে তা বয়কট করেছিলাম। এ কারণে আজকে আমাদের টার্মিনেট করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্রাঞ্চে পরীক্ষায় না অংশ নেয়া কর্মকর্তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে, অনেক কর্মকর্তাদেরকে ব্রাঞ্চে ঢুকতে দেয়া হয়নি। গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। অনেককে ঢুকতে দিলেও ডেস্কে বসতে দেয়নি।

ওই কর্মকর্তারা আরও অভিযোগ করেন, সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তার ইউজার আইডি ইনএক্টিভ করে রাখা হয়েছে, ফলে কেউ অনলাইনে ইন-আউট দিতে পারেনি, সারাদিন কোন ব্যাংকিং কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি। মূলত আমরা প্রেস ব্রিফিং করেছিলাম বলেই প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি আমাদের চাকরিচ্যুত করেছে।

‘‘আমরা হাইকোর্টকে অবমাননা করে তো পরীক্ষায় বসতে পারি না মন্তব্য করে তারা বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের রুল পেন্ডিং রয়েছে, এই অবস্থায় আমরা তা অবমাননা করে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারি না। আমরা সেটা ম্যানেজমেন্টকে নোটিশের মাধ্যমেও জানিয়েছি। লিগ্যাল নোটিশও দিয়েছি, কিন্তু ম্যানেজমেন্ট কোন কিছু না করে সেই নাটক মঞ্চায়িত করেছে।’’ সংবাদ সম্মেলন থেকে সমস্যা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কর্মকর্তারা।

এসব অভিযোগের বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোনে কল এবং খুদে বার্তা দেয়া হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। এরপর ব্যাংকটিতে বিভিন্ন সময়ে কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, এ সময়ে বিনা পরীক্ষায় এস আলমের প্রভাবে অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি তাদের জন্যই পুনরায় এই পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। শনিবার এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও কিছু কর্মকর্তা পরীক্ষা বয়কট করেন। তাদের মধ্য থেকেই অন্তত তিনজনের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ।