বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০.৫৯ বিলিয়ন ডলার
দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক চাপের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার শাসনামলের শেষ দিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তীব্র সংকটে পড়ে যায়। ক্রমাগত আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, রপ্তানি আয়ে ধীরগতি এবং প্রবাসী আয়ে ওঠানামার কারণে রিজার্ভ নেমে যায় নিম্নতম পর্যায়ে। সেই সময় বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয় এবং অর্থনীতিতে চাপ আরও বাড়তে থাকে। তবে গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানা উদ্যোগ ও কঠোর আর্থিক নীতির কারণে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি শুরু হয়। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে, আর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও দেখা দিয়েছে ইতিবাচক পরিবর্তন।
সংবাদ সংস্থা বাসসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম৬) পদ্ধতি অনুসারে বর্তমানে রিজার্ভের প্রকৃত পরিমাণ ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।
অর্থনীতিবিদদের মতে, রিজার্ভে এ ধরণের অগ্রগতি বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করছে। যদিও সামনে এখনও নানা চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে—বিশেষ করে ডলার বাজারে চাপ, আমদানি খাতে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং প্রবাসী আয় বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলোতে।