৩০ জুলাই ২০২৫, ১৬:৪০

টঙ্গীতে ডাইং কারখানায় কেমিক্যাল দুর্ঘটনা, এক শ্রমিকের মৃত্যু

তামিশনা গ্রুপ ও আহত শ্রমিককে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে  © টিডিসি

গাজীপুরের টঙ্গীর ভাদাম এলাকায় তামিশনা গ্রুপের ইটাফিল ডাইং অ্যান্ড অ্যাক্সেসরিজ লিমিটেড কারখানায় ফুটন্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত পানিতে দগ্ধ হয়ে আব্দুল কুদ্দুস (১৯) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় ইসমাইল (৩২) নামের আরেক শ্রমিক গুরুতর দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারখানার নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত কুদ্দুস কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মিস্ত্রীপাড়ার বাসিন্দা। তিনি কারখানায় সহকারী অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং স্থানীয় আলী আকবরের বাসায় ভাড়া থাকতেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালের শিফটে কাজ করার সময় হঠাৎ একটি চলমান ডাইং মেশিনের ঢাকনা খুলে যায়। এতে ফুটন্ত কেমিক্যালযুক্ত পানি ছিটকে পড়ে কুদ্দুস ও ইসমাইলের শরীরে। পরে গুরুতর দগ্ধ কুদ্দুসকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে এদিন বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান। ইসমাইল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং কুদ্দুসের মরদেহ গোপনে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিতে চেয়েছিল। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি শাহবাগ থানা পুলিশকে জানালে তারা টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। নিহতের বোন মোছা. আলো আক্তার থানায় অভিযোগ করেন টঙ্গী পশ্চিম থানায়। 

স্থানীয়রা জানান, এর আগেও এ কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ ও গরম পানিতে দগ্ধ হয়ে একাধিক শ্রমিক হতাহত হয়েছেন। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি দূর করতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিব বলেন, ‌‌‘ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’