এনটিআরসিএ ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির পরিকল্পনা

ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক
ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক  © ফাইল ফটো

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির পরিকল্পনা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনাও করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়া নতুন শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত হতে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। প্রতিটি ধাপেই শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করা হয়। যাদের কাগজপত্র ঠিক থাকে তাদের ক্ষেত্রে টাকার অংক কিছুটা কম। বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষকরা প্রতিনিয়ত মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানায়। এর প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে মাউশি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিতে আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো থেকে এমপিওভুক্তির অনুমোদন প্রক্রিয়া বাদ দেওয়ার চিন্তা করেছে মাউশি।

ওই সূত্র আরও জানায়, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী এনটিআরসিএতে একজন প্রার্থী যখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন তখনই তার কাগজপত্র যাচাই করবে অধিদপ্তর। এক্ষত্রে অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা মৌখিক পরীক্ষার সময় উপস্থিত থাকবেন। তিনি অনুমোদন দিলে ভাইভায় অংশ নেওয়া প্রার্থীর কাগজপত্র সঠিক আছে বলে ধরে নেওয়া হবে। ভাইভায় উত্তীর্ণ প্রার্থী যখন নিয়োগের সুপারিশ পাবেন তখন প্রতিষ্ঠান প্রধান তাকে এমপিওভুক্ত করতে একটি চিঠি অধিদপ্তরে অনলাইনের মাধ্যমে প্রেরণ করবে। এরপর ওই শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা হবে।

আরও পড়ুন: বিসিএস ক্যাডার সেই দুই ভাইয়ের দোকানের মিষ্টি চান প্রধানমন্ত্রী

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা শিক্ষকদের এমপিভুক্তির প্রক্রিয়া সহজ করতে চাই। এমপিওভক্ত হতে শিক্ষকদের ধাপে ধাপে যে ঘুষ দিতে হয় সেটি বন্ধ করতে চাই। সেজন্য আমরা এনটিআরসিএ এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে শিক্ষকদের এমপিভুক্তির পরিকল্পনা করেছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো কিছু হয়নি।

মাউশি ডিজি আরও বলেন, পূর্বে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ভাইভা নেওয়া হত না। তবে এখন নেওয়া হয়। তাই আমরা ভাবছি ভাইভা বোর্ডে মাউশির একজন ডিডিকে পাঠাব। তিনি ভাইভা চলাকালীন ওই প্রার্থীর সব কাগজ যাচাই করবেন। কোনো কাগজে সমস্যা থাকলে তিনি অনুমোদন দেবেন। ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত অধিদপ্তরের প্রতিনিধি অনুমোদন দিলে তার কাগজপত্র সঠিক বলে ধরা হবে। যোগদানের পর ওই শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে অনলাইনে আমাদের একটি চিঠি পাঠাবেন প্রতিষ্ঠান প্রধান। এরপর ওই শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারবেন।


সর্বশেষ সংবাদ