শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কপির প্রবণতা কমে এসেছে: মাউশি ডিজি
শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কপির প্রবণতা কমে এসেছে বলে দাবি করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
করোনায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে সরকার বাসায় অ্যাসাইনমেন্ট লিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বাসায় বসে অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা বই বা গাইড বই দেখে লিখছে, অথবা কোনো সহপাঠীর করা অ্যাসাইনমেন্ট কপি করছে।
মাউশি ডিজি বলেন, প্রথমদিকে শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট ফটোকপির দোকান, ইউটিউব বা ফেসবুক থেকে কপি করত। শিক্ষার্থীদের মাঝে সেই প্রবণতাও কমে এসেছে। শিক্ষকরা সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করলে নকল করার কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষকদের এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে, কপি-পেস্ট বা নকল বন্ধ করতে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম সরেজমিন মনিটরিংয়ে সরকারি-বেসরকারি সব স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষদের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল হোসেন বলেন, অ্যাসাইনমেন্ট প্রস্তুতের ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থীর যদি নকল বা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তার অ্যাসাইনমেন্ট বাতিল হয়ে যাবে।
অ্যধ্যাপক গোলাম ফারুক বলেন, একজন শিক্ষক মূল্যায়ন করলেও অন্য শিক্ষক দিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। কোনও শিক্ষক মূল্যায়নে অবহেলা বা অনৈতিক কাজ করলে সে ক্ষেত্রে তার ব্যবস্থা বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।