‘বিশেষ অনুদান’ পাচ্ছেন ১ লাখ ৫ হাজার নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে ঠিকমতো বেতন না পাওয়ায় দুর্ভোগে থাকা বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৫ হাজার নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন নন-এমপিও ৮০ হাজার ৭৪৭ জন শিক্ষককে ৫ হাজার টাকা এবং ২৫ হাজার ৩৮ জন কর্মচারীকে আড়াই হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হবে। টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নন এমপিও শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছর তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেজন্য প্রকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য খুঁজে বের করতে দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (ব্যানবেইস)। প্রতিষ্ঠানের ডাটাবেইসে থাকা ৬৪ জেলার ৮ হাজার ৪৯২টি স্কুল ও কলেজের নন-এমপিও ৮০ হাজার ৭৪৭ জন শিক্ষক ও ২৫ হাজার ৩৮ জন কর্মচারীসহ মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৭৮৫ জনের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়। এরপর তা স্থানীয় প্রাশাসনের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হয়। সেই তালিকার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর ‘বিশেষ অনুদান’ খাত থেকে প্রাপ্ত অর্থ জেলা প্রশাসকদের কাছে সংশ্লিষ্ট নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুকূলে চেক/ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাঠানো হয়।
এসব প্রতিষ্ঠান সরকার থেকে কোনো বরাদ্দ পায় না। প্রধানমন্ত্রী তার ‘বিশেষ অনুদান’-এর খাত থেকে এজন্য ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা প্রণোদনা হিসেবে বরাদ্দ দেন। ৬৪ জন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তা বণ্টন করা হয়। চলতি বছর একইভাবে এ তালিকা ধরে অনুদানের ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে এবারও নন এমপিও শিক্ষকদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপিত হলে সায় মেলে। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয় গত বছরের তালিকা ধরে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন; যা অনুমোদনের অপেক্ষায়। তার অনুমোদন পেলে ঈদের আগেই এ অর্থ বিতরণ করা হতে পারে। তাদের বরাদ্দ পাওয়ার পর সারাদেশের কারিগরি, মাদরাসা ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মরত নন-এমপিও ৫১ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষকের জন্য আলাদা বরাদ্দ চাওয়া হবে।