শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঝুঁকি নেওয়া হবে না: মাউশি মহাপরিচালক

মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক
মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক  © ফাইল ফটো

করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে সর্বশেষ সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে। ওইদিন থেকে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা।

এর আগে করোনা সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুকও একই ধরনের কথা বলেছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৩০ মার্চই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত আছে। তবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেবেন না বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে শিক্ষকদের করোনার প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অগ্রাধিকারভুক্ত করে টিকা দেওয়ার আলাদা ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট তিন লাখ ৮০ হাজার ৩৭৬ শিক্ষকের তালিকা পাঠানো হয়েছে।

তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, এ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার শিক্ষক নিবন্ধন করেছেন। টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ১৩ হাজার জন। অন্যদিকে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা সাত লাখ ২৯ হাজার ৯৯০ জন। এর মধ্যে ৪০ বছরের কম বয়সী দুই লাখ ৬৫ হাজার ৪২৬ জন। তবে কতজন টিকা নিয়েছেন তার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।

এ প্রসঙ্গে মাউশি মহাপরিচালক বলেন, কতজন শিক্ষক টিকা নিয়েছেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য আসেনি। যতদূর জেনেছি, ৪০ বছরের বেশি বয়সী বেশিরভাগ শিক্ষক টিকা নিয়েছেন। পিছিয়ে আছেন ৪০ বছরের কম বয়সী শিক্ষকরা। শিগগিরই সব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী টিকা নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ