বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর ভাতার আবেদনে ভোগান্তি কমেনি

  © ফাইল ফটো

দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর ভাতা তুলতে অনলাইনে আবেদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় জনবল অপ্রতুল। এ কারণে শিক্ষকদের ভোগান্তি রয়ে গেছে আগের মতোই। ফলে সুযোগ নিচ্ছে দালাল চক্র।

অবসর ভাতা বোর্ডের আর্থিক সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি সক্ষমতার অভাবও রয়েছে। দুই বিভাগের অনলাইন কার্যক্রম চলছে মাত্র দুজন প্রোগ্রামার দিয়ে। আড়াই বছর ধরে ঝুলে আছে ২৯ হাজার শিক্ষক ও কর্মচারীর ভাতা পাওয়ার আবেদন। 

অবসর ভাতা কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব শাহজাহান আলম সাজু বলেন, এটা খুব কঠিন ও জটিল একটা বিষয়। যেহেতু শতভাগ কারিগরি বিষয়। সেজন্য আমরা মন্ত্রণালয়ের কথা মতো সংশোধিত জনবল কাঠামো এরই মধ্যে জমা দিয়েছি।

অবসরপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক খলিলুর রহমান নেত্রোকোনা থেকে মুঠোফোনে জানান, দালালচক্র তাঁর কাছ থেকে ভুয়া পরিচয় দিয়ে টাকা নিয়েছেন এরপর থেকেই ফোন বন্ধ। কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব অভিযোগের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্য অবসর সুবিধা বোর্ডের তিনজকনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আর কল্যাণ ট্রাস্টের চারজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। 

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী বলেন, তিনজনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েছিলাম। সেই তিনজনকে বরখাস্ত করে দিয়েছি। এখন আশা করি যে আমার অবসর বোর্ড অনেকটাই দুর্নীতিমুক্ত।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কমচারী অবসর সুবিধা আইন, ২০০২-এর মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড গঠন হয়। এ আইনের প্রবিধানমালা-২০০৫-এর উপ-প্রবিধান-১০(১) অনুযায়ী এমপিওভূক্ত অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরকালীন সময়ের সুবিধা দেওয়া হয়। বর্তমানে রাজধানীর নীলক্ষেতের পলাশী-নীলক্ষেত জহির রায়হান রোডে ব্যানবেইসের নীচতলায় ৫টি কক্ষ নিয়ে এর কার্যক্রম চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ