লটারিতে মাধ্যমিকে ভর্তির সময়সীমা পরে জানাবে মাউশি
হাইকোর্টে রিট পিটিশন চলমান থাকায় দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে ‘ডিজিটাল লটারি কার্যক্রম’ স্থগিত করেছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাধ্যমিকে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তির স্থগিত লটারির সময়সীমা পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে মাউশি।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইনে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার উচ্চ আদালতের রিট পিটিশনের আদেশের পর এই কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
এত দিন কেবল প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। কিন্তু এবারে করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন স্কুলগুলোয় প্রথম শ্রেণির মতো সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। এ জন্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শেষ করা হয়, যার লটারি হওয়ার কথা ছিল ৩০ ডিসেম্বরে।
ঢাকাসহ দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় ভর্তির জন্য আবেদন শুরু হয় ১৫ ডিসেম্বরে। আবেদন চলে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শুধু অনলাইনে (https://gsa.teletalk.com.bd) আবেদন করেছে শিক্ষার্থীরা।
পাঁচ শর্তে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারিতে ভর্তি
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পর এবার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও ভর্তির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। পাঁচটি শর্ত মেনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে ভর্তির কাজটি করবে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবেদন ফি ধরা হয়েছে ১৫০ টাকা।
যেসব শর্তে ভর্তির কাজটি করবে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো, সেগুলো হলো করোনা পরিস্থিতির কারণে জনসমাগম এড়াতে লটারির প্রক্রিয়াটি ফেসবুকে লাইভে অথবা অন্য যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সরকারের ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটি, বিদ্যালয়ের ভর্তি পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লটারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সর্বোপরি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া যেন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।