বিদ্যালয়ে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ চলতি সপ্তাহে
আসন্ন শিক্ষাবর্ষে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ কার্যক্রম শুরু করতে চলতি সপ্তাহে ভর্তি নীতিমালা জারি করা হবে। এরপরেই শুরু হবে ভর্তি কার্যক্রম। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, করোনার কারণে এবার বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে লটারির স্বচ্ছতায় বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি ফরমের মূল্য চলতি শিক্ষাবর্ষের মতো ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বাড়ানো হয়নি। আগের মতো রয়েছে। ঘোষিত শূন্য আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি ও নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত টিউশন ফির বেশি আদায় করা যাবে না। এবার বার্ষিক পরীক্ষা না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ হওয়ার পর শূন্য আসন ঘোষণা করে ভর্তি কমিটির কাছে তালিকা জমা দিতে হবে।
কোভিড-১৯ মহামারির সংক্রমণরোধে সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরের পৌর শহর এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা সশরীরে দিতে হবে না। প্রতিষ্ঠানের অনলাইনে জমা দিতে পারবেন। আবেদন ফরম বিতরণের পর অন্তত সাত কার্যদিবস সময় দিতে হবে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ ও লটারির ফলাফল প্রকাশ করবে। ফলাফল এক বছর স্কুলে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজনে আবেদন ফরম জমা নেয়ার সময় ফরমের নিচের অংশ ক্রমিক নম্বর দিয়ে শিক্ষার্থীদের ফেরত দিতে হবে।
নীতিমালায় ঢাকা মেট্রোপলিটনসহ এমপিওভুক্ত, আংশিক এমপিওভুক্ত এবং এমপিওবহির্ভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন ফরমের মূল্য ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে মফস্বল এলাকায় ৫০০ টাকা, পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১ হাজার ও পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২ হাজার, ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি হবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে পারবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা এবং ইংরেজি মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নিতে পারবে।
এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক (বিদ্যালয়) বেলাল হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে ভর্তি নীতিমালায় লটারিসহ কয়েকটি বিষয় যুক্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি চূড়ান্ত হলে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু করতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।