অ্যাসাইনমেন্টে ‘অতি উত্তম’ ‘ভালো’ লেখার কারণ জানালেন মাউশি মহাপরিচালক

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাে. গােলাম ফারুক
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাে. গােলাম ফারুক  © ফাইল ফটো

করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নভেম্বরের শুরু থেকে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে দক্ষতা যাচাই করছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নে খাতায় ‘অতি উত্তম’, ‘উত্তম’, ‘ভালো’ ও ‘অগ্রগতি প্রয়ােজন’ লিখছেন শিক্ষকরা। এগুলো লেখার কারণও অ্যাসাইনমেন্টের ওপর লিখতে শিক্ষকদের নির্দেশনা দিয়েছেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাে. গােলাম ফারুক।

তিনি জানিয়েছেন,  এতে শিক্ষার্থীরা তার সবলতা বা দুর্বলতা বুঝতে পারবে এবং ভবিষ্যতে শিক্ষকরা অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গত মঙ্গলবার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের এ বিষয়ে অনুরোধপত্র পাঠান।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাে. গােলাম ফারুক শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘করােনা সংক্রমণের কারণে স্কুল বন্ধ থাকলেও আপনারা নানাভাবে পাঠদান করে আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণ যেন অব্যাহত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখেছেন। সর্বশেষে যে কাজটি আপনারা আন্তরিকতার সঙ্গে করছেন সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া, গ্রহণ করা, মূল্যায়ন করা এবং শিক্ষার্থীদের পুনরায় সেই মূল্যায়িত অ্যাসাইনমেন্টটি দেখিয়ে তা স্কুলে সংরক্ষণ করা। লক্ষ্য করা যাচ্ছে উপরে উল্লিখিত প্রত্যেকটি কাজ আপনারা নিয়মিত করছেন।’

আরও লিখেছেন, ‌‘কেবল একটি বিষয় আপনাদের আরও মনোযােগ দিয়ে করতে হবে। সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীর খাতায় আপনি যখন ‘অতি উত্তম’, ‘উত্তম’, ‘ভাল’, বা ‘অগ্রগতি প্রয়ােজন’ লিখছেন, সেটা কেন লিখছেন তার কারণ এরই মধ্যে পাঠানো ‘শিক্ষকের জন্য মূল্যায়ন নির্দেশনা’ অনুসরণ করে বিস্তারিত অ্যাসাইনমেন্টের ওপর লিখতে হবে। যেন শিক্ষার্থী তার সবলতা বা দুর্বলতা বুঝতে পারে এবং পরে আমরা যখন এসব অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংগ্রহ করে পর্যালােচনা করবাে সেক্ষেত্রেও আপনার মূল্যবান বিস্তারিত মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি এ অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারেন, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদশের শিক্ষা ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের মুখস্থ নির্ভরতা কমবে, তারা সূক্ষ্ম চিন্তা করতে শিখবে এবং সৃষ্টিশীল হবে। পরীক্ষা দেওয়ার সময় তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বােধ করবে, পরীক্ষা ভীতি চলে যাবে এবং পরীক্ষা হয়ে উঠবে শিখনফল অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। অর্থাৎ পরীক্ষা দিতে নিজের অজান্তেই তারা অনেক কিছু শিখে ফেলবে।’

মহাপরিচালক শিক্ষককদের লিখেছেন, ‘করােনা আমাদের জন্য যেসব সমস্যা তৈরি করেছে, সেসব সমস্যাকে সুযােগে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সােনার বাংলা তৈরি করার জন্য যে গুণগত শিক্ষা প্রয়ােজন তা যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে পারে তা নিশ্চিত করি।’


সর্বশেষ সংবাদ