মাউশির মহাপরিচালক ও বোর্ড চেয়ারম্যানসহ ৪৭ জনের নামে মামলা
যথাযথ কারণ ছাড়া বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া মহেশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং এমএলএসএসকে বরখাস্ত করার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহা-পরিচালক ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ৪৮ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) উজিরপুর সহকারী জজ আদালতে ওই মামলা দুটি করেন গুঠিয়া মহেশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুল আলম ও এমএলএসএস সমীর কৃষ্ণ মন্ডল।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান জানিয়েছেন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক, বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার, উজিরপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উজিরপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অদিদপ্তরের উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, রূপালী ব্যাংক ভবানিপুর শাখার ম্যানেজার, উজিরপুর গুঠিয়া শাখার ম্যানেজার, অগ্রণী ব্যাংক বানারীপাড়া শাখার ম্যানেজার, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আওরঙ্গজেব, শিক্ষক সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন, রবীন্দ্র নাথ মন্ডল, বিথীকা মন্ডল, অভিভাবক সদস্য মোঃ ইউসুফ আলী মোল্লা, মোঃ ছুরাত মোল্লা, মোঃ নাসির উদ্দিন খান, মোঃ নিজাম সরদার, শিরিন সরোয়ার, বিদ্যেৎসাহী সদস্য মোঃ আতাহার আলী হাওলাদার, সহকারী শিক্ষক মোঃ মোস্তফা কামাল, প্রধান শিক্ষক ও সম্পাদক ম্যানেজিং কমিটি সহ ৪৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এসএলএসএস সমীর কৃষ্ণ মন্ডলের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের ২৭ মে গুঠিয়া মহেশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলে এসএলএসএস পদে যোগদান করে দায়িত্ব পালন শুরু করেন তিনি। কোন কারন ছাড়াই বিবাদীরা ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর ৯/২০২০ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১ নং বিবাদী বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চাকুরিবিধি ১৯৭৯ উপেক্ষা করে ২০২০ সনের ১৭ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর ১নং বিবাদী সমীর কৃষ্ণ মন্ডলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।
প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সাের ২৮ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করে দায়িত্বরত ছিলেন। ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৫ অক্টোবর তাকে বেআইনীভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
তাছাড়া ২১ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নিজাম সরদার স্কুলের মালামাল কক্ষের চাবি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে নিয়ে যান। প্রধান শিক্ষক মামলায় উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের মালামাল সংরক্ষিত রুমের চাবি নিয়ে যাওয়া এবং বিদ্যালয়ের নোটিশ বই, রেজুলেশন বই, ক্যাশ বই, জব্দ করা ও নিয়ে যাওয়া হঠকারিতা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এর প্রতিকার এবং স্বপদে বহাল থাকার দাবি জানানো হয় আদালতে। আদালত মামলাটি শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান।