৬ শিক্ষক কর্মচারীকে চুরি হওয়া ল্যাপটপ কিনে দেয়ার নির্দেশ
দিনাজপুরের ভবানীপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে রহস্যজনকভাবে ১০টি ল্যাপটপ চুরি গেছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ কিনে দিতে ছয় শিক্ষক-কর্মচারীকে সময় বেঁধে দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ মবিদুল ইসলাম। এদিকে অনুমাননির্ভর এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ‘নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে’ লিখিত অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা হলেন ভূগোল বিভাগের প্রভাষক মোস্তফা কামাল, পিয়ন এনামুল হক ও আব্দুল রশিদ, নৈশপ্রহরী আবুল কালাম আজাদ, নৈশপ্রহরী কাম পিয়ন সুভাষ চন্দ্র রায় এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল আলিম।
তাদের অভিযোগ, গত ২৪ আগস্ট বিকেলে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত, হাজতবাস, চুরির মামলার আসামি করার ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে অঙ্গীকারনামায় ১০ ল্যাপটপের মূল্য ৪ লাখ টাকা ধরে ছয় জনকে ৬৬ হাজার টাকা করে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অধ্যক্ষের কাছে জমা দিতে বলা হয়।
ল্যাপটপ চুরিতে জড়িত থাকার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই অধ্যক্ষ পুলিশের সহায়তায় তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেছেন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ আগস্ট ঈদুল আজহার ছুটি ঘোষণা করা হয়। ওইদিন ল্যাপটপগুলো কলেজ ল্যাবেই ছিল। ১৫ আগস্ট সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করতে অধ্যক্ষ ও শিক্ষক-কর্মচারীরা কলেজে গেলে লেনোভা ব্যান্ডের ১০ ল্যাপটপ চুরির ঘটনা জানাজানি হয়।
পরে ২৪ আগস্ট কলেজ পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য অহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক গোলাম মোস্তফা ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হুমায়ন কবির।