মাউশিতে সেবার নামে ভোগান্তি পেয়ে মানুষ ফিরে যাচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

  © ফাইল ফটো

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, শিক্ষার সব কাজে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু শিক্ষা সপ্তাহে সেবা দেয়া হবে অন্য সময়ে সেবার নামে হয়রানির শিকার হয়ে ফিরে যেতে হবে তা বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, মাউশির সঙ্গে সারাদেশের অনেক মানুষ জড়িত, তারা প্রতিনিয়ত সেবা পেতে এখানে ছুটে আসছেন। অনেকে এসে সেবার নামে বিভিন্ন টেবিলে দৌড়ান। সেবার নামে ভোগান্তি পেয়ে তারা ফিরে যাচ্ছেন, এটি বন্ধ করতে হবে। শুধু শিক্ষা সপ্তাহে সেবা পাবে আর অন্য সময়ে হয়রানি হবে সেটি কাম্য নয়। সবাই যে সেবা দিতে দায়িত্ব নিয়েছেন সেই মানসিকতা তৈরি করতে হবে। শিক্ষকরা যদি সঠিক সেবা পান তবে তারাও নিজ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সঠিক দায়িত্বটি পালন করার চেষ্টা করবেন।

রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) শিক্ষাসেবা সপ্তাহ (২৪ থেকে ৩০ জুন) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণেরও আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, শিক্ষার সব কাজে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু শিক্ষা সপ্তাহে সেবা দেয়া হবে অন্য সময়ে সেবার নামে হয়রানির শিকার হয়ে ফিরে যেতে হবে তা বন্ধ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাসেবা সপ্তাহে জনমানুষের সেবার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু শিক্ষা সপ্তাহে সেবা পাবে আর অন্য সময়ে হয়রানির শিকার হবে এটি হতে পারে না। শিক্ষার মান বাড়াতে হলে সেবা দেওয়ার বিষয়টি সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে। হয়রানি কমাতে শিক্ষার সব কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, মাউশির কার্যক্রম আরো বেশি অনলাইনভিত্তিক করতে হবে। তবেই সেবাপ্রত্যাশীদের দূর-দূরান্ত থেকে এসে হয়রানির শিকার হতে হবে না। সহজেই তারা সেবা পাবেন। এর মাধ্যমে অনিয়ম কমে মানসম্মত শিক্ষাসেবা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

এর আগে শিক্ষা উপমন্ত্রীর নেতৃত্বে মাউশির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি র‌্যালি মাউশিতে প্রবেশ করে। এরপর শিক্ষাসেবা সপ্তাহ সেবা স্টল উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) জাকির হোসেন ভূইয়া, অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, শিক্ষা মন্ত্রাণালয় ও মাউশির কর্মকর্তা-কর্মচারী।


সর্বশেষ সংবাদ