বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে নির্দেশ মাউশির

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকালীন ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। বুধবার এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে মাউশি। বিষয়টি নিশ্চিত করতে জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশে বিদ্যালয় ও কলেজ চলাকালীন প্রতিষ্ঠানে গেটে ভ্রাম্যমাণ দোকান ও ফেরিওয়ালাদের বিক্রি করা খাবার না খেতে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে।

মাউশি’র পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের ফটকে মুড়ি ও চানাচুর, আচার, ভেলপুরি, চটপটি ও ফুচকাসহ নানাবিধ খাদ্যদ্রব্য বিক্রি হয়। এসব খাবার খেয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পেটের পীড়ায় ভোগে। ক্লাসেও তারা মনোযোগী হয় না। আবার এসব খাবারে তাদের কাঙ্খিত পুষ্টিও নিশ্চিত করা যায় না। অথচ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য মানসম্মত শিক্ষা দিতে ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টিমান নিশ্চিত করা জরুরি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের (এসডিজি-৪) অংশ হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ পাঠ গ্রহণের উপযোগী করে তুলতেই এ নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

পরিপত্রে বিদ্যালয়ের সামনে বিক্রি হওয়া এসব খোলা খাবার না খেতে শিশুদের পরামর্শ প্রদান ও উৎসাহ যোগাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসবের খাবারের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের ধীরে ধীরে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও তৈরি করা পুষ্টিকর খাবার খেতে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। প্রয়োজনে অভিভাবকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে পরামর্শ করতে মাঝে মাঝে তাদের সঙ্গে বসতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের।

 


সর্বশেষ সংবাদ