কোটা আন্দোলনে কত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত, তালিকা হচ্ছে
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় সারা দেশে কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার তালিকা তৈরি করছে শিক্ষা প্রশাসন। সেই ধারাবাহিকতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এই তথ্য ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। শনিবার (২৮ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক দিনে দেশে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতিতে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা উল্লিখিত ছক মোতাবেক সফট কপি dd-admin@dshe.gov.bd- এই ই-মেইলে এবং হার্ডকপি অধিদপ্তরের উপপরিচালকের (প্রশাসন) দপ্তরে পাঠানোর জন্য বলা হলো।
অধিদপ্তরের নির্দেশিত ছকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা, প্রতিষ্ঠানের ধরন, ক্ষয়-ক্ষতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা, সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ (টাকায়) ইত্যাদি বিষয় লিখে পাঠাতে হবে।
এদিকে, এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মোট ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ক্ষতির বিবরণ চেয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষ থেকে দেশের উচ্চশিক্ষার তদারক সংস্থাটির কাছে যে ক্ষতির পরিমাণ জানানো হয়েছে, তাতে এখন পর্যন্ত দেশের মোট ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর বাইরে, ৪টি উচ্চশিক্ষালয়ে কোনো আর্থিক ক্ষতি না হলেও তাদের শিক্ষার্থী এবং অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা হতাহত হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) তথ্য বলছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশনে অর্থ চেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এর বাইরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ক্ষতি দেখানো হয়েছে ৫৬ লাখ টাকা।