০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৫

মাউশির নতুন ডিজি নিয়োগে আলোচনায় চার নাম

মাউশির ডিজি হওয়ার দৌঁড়ে চার নাম  © ফাইল ছবি

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের মেয়াদ আগামী ১৩ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। তবে সরকারি ছুটির কারণে আগামীকাল বুধবার তার শেষ অফিস। এই অবস্থায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক তদারকি প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ আসনে কে বসবেন তা নিয়ে চলছে আলোচনা।

সূত্রের খবর, মাউশির ডিজি হতে ইতোমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন শিক্ষা প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। এই তালিকায় বর্তমান মহাপরিচালক ছাড়াও আরও তিন কর্মকর্তার নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। তবে গুঞ্জন উঠেছে বর্তমান ডিজিই আগামী এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান বলেন, ‘পদটি অত্যন্ত সম্মানজনক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার নীতিনির্ধারণী পদ। এ পদে সরকার যোগ্য লোককেই নিয়োগ দেবে।’

জানা গেছে, মাউশির বর্তমান মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ছাড়াও ডিজি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন মাউশির প্রভাবশালী পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী, মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) সৈয়দ জাফর আলী এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

আলোচনায় থাকাদের মধ্যে অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী ১৪তম বিসিএসের অর্থনীতির অধ্যাপক। ২০০৯ সাল থেকে তিনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন পদে এবং ২০১৯ সাল থেকে বর্তমান পদে আছেন। তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি। অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। তাঁর বাড়ি বৃহত্তর ফরিদপুরে। তিনি ১৭তম বিসিএসের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক। স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের সাধারণ সম্পাদক তিনি।

প্রফেসর তপন কুমার সরকার দীর্ঘদিন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৭ সালের দিকে দেশব্যাপী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে তার ব্যাপক ভূমিকা ছিল। ওই সময় তাঁকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব দেয় সরকার। সেখান থেকে তাঁকে পদোন্নতি দিয়ে সচিব করা হয়েছিল। এর আগেও দীর্ঘসময় সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন অধ্যাপক তপন কুমার। তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা।