শিক্ষক বদলিতে যে বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে না
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে নিজ জেলা, বয়স, স্বামীর কর্মস্থল বিবেচনায় নেওয়া হবে না। সমগ্র চাকরিজীবনে একজন শিক্ষক একবারই বদলির সুযোগ পাবেন।
সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির খসড়া তৈরি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক কার্যালয়। খসড়া থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খসড়া অনুযায়ী, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে শিক্ষকদের বদলির সুযোগ দেওয়া হবে। এর বাইরে অন্য সময় বদলির সুযোগ বন্ধ থাকবে। বদলির ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নেওয়া শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে না।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাউশির মাধ্যমিক শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বদলির খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত। তবে বদলি সংক্রান্ত কর্মশালা না হওয়ায় এ খসড়া চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। খসড়া চূড়ান্ত হলে তা পরিপত্র আকারে প্রকাশ করা হবে।
বদলির জন্য কোন বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বদলির ক্ষেত্রে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর, বয়স, নিজ জেলা, স্বামীর কর্মস্থল এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে না। এছাড়া আরও কিছু বিষয় রয়েছে। তবে খসড়া চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে কর্মশালা ডাকা হলেও নানা অজুহাতে তা বার বার স্থগিত করা হচ্ছে। নতুন করে কবে কর্মশালা আয়োজিত হবে সে বিষয়ে কোনো কিছুই জানাতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই অবস্থায় বদলির অপেক্ষায় থাকা ৫ লাখ শিক্ষকের দুশ্চিন্তা কমছে না।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-৩) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বদলির কর্মশালা নিয়ে উচ্চপর্যায় থেকে কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। আশা করছি খুব দ্রুত নির্দেশনা পাওয়া যাবে। নির্দেশনা পেলে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, গত বছরের ২২ অক্টোবর বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নিয়ে প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বেশ কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবনা খসড়া আকারে তৈরি করা হয়েছে। এই খসড়া চূড়ান্ত করতে গত ৩০ জানুয়ারি দ্বিতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে তা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি ঝুলেই রইল।