২০ আগস্ট ২০২৩, ১২:৪০

৫ম গণবিজ্ঞপ্তি থেকে এমপিওভুক্তির অটোমেশন প্রক্রিয়া কার্যকর

শ্রেণি কক্ষে পাঠদানরত শিক্ষক  © ফাইল ফটো

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধে এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া  অটোমেশন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি থেকে এই প্রক্রিয়া কার্যকর করা হতে পারে।

জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এনটিআরসিএর সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা চুড়ান্ত সুপারিশের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। 

পরবর্তীতে শিক্ষকদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ পেতে নানা ধরনের কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হয়। অনলাইনে ফাইল প্রথমে সংশ্নিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও বিভাগীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ে যায়। নানা কারণে এসব ফাইল বিভিন্ন পর্যায়ে আটকে থাকে। এর ফলে সদ্য নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন ছাড়াই চাকরি করেন। অথচ তারা এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে সুপারিশ পাওয়ার সময় একই ধরনের কাগজপত্র জমা দিয়ে থাকেন। এই শিক্ষকদের বর্তমানে পুলিশ ভেরিফিকেশনও করা হচ্ছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, এমপিওভুক্তির আবেদনের শিক্ষকদের নানা ভাবে হয়রানি করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগও ওঠে। এতে শিক্ষকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। শিক্ষকদের এসব ভোগান্তি কমাতে পৃথকভাবে এমপিওভুক্তির আবেদন বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য নতুন করে এমপিও নীতিমালা সংশোধন করা হবে। নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে এনটিআরসিএ’র সুপারিশের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সকল ধরনের কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এরপর তারা অটো এমপিওভুক্ত হবেন। পৃথকভাবে এমপিওভুক্তির আবেদন করতে হবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাউশির এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষকদের ভোগান্তি কমাতে আমরা এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া অটোমেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এনটিআরসিএর ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে যারা নিয়োগ পাবেন তারা অটো এমপিওভুক্ত হবেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওভুৃক্তির বিষয়ে আমরা অটোমেশন পদ্ধতি অবলম্বনের বিষয়ে একমত হয়েছি। এনটিআরসিএর পরবর্তী নিয়োগ কার্যক্রম থেকে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।