সেসিপে বড় নিয়োগ আসছে
সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) আওতায় আড়াই হাজারের বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ইতোমধ্যে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করেছে সেসিপ।
বুধবার (২২ মার্চ) সেসিপের একাধিক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সারা দেশে সেসিপ পরিচালিত ৬৪০টি স্কুল রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর এবং ল্যাব সহকারী নিয়োগ দিতে ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর শূন্য পদের চাহিদা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে পাঠানো হয়। তবে শূন্য পদের তথ্যগুলো অধিকতর যাচাইয়ের জন্য পুনরায় সেসিপের কাছে অনুরোধ জানায় এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএ’র অনুরোধের প্রেক্ষিতে নতুন করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রাপ্ত তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই শেষে ২ হাজার ৫৬০টি শূন্য পদের তথ্য পেয়েছে সেসিপ। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এই পদে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএ’র কাছে চাহিদাপত্র পাঠানোর কথা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সেসিপের যুগ্ম প্রোগ্রাম পরিচালক (অতি. দা.) প্রফেসর ড. সামসুন নাহার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে। আমরা আমাদের ৬৪০টি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএ’র কাছে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছিলাম। সেটি যাচাই-বাছাই করে পুনরায় চাহিদাপত্র পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
জানা গেছে, সেসিপের আওতাধীন ৬৪০টি স্কুলে ২ হাজার ৫৬০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর পদে এক হাজার ২৮০ জন এবং ল্যাব সহকারী পদে এক হাজার ২৮০ জন। অর্থাৎ প্রতিটি স্কুলে দুইজন করে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে সেসিপের উপপরিচালক (প্রোগ্রাম) মো. আতাউর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা শূন্য পদের সংখ্যা চূড়ান্ত করে ফেলেছি। প্রাপ্ত তথ্য বৃহস্পতিবার এনটিআরসিএ’র কাছে পাঠানো হবে। এরপর তারা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করবেন।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সেসিপের গণবিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, যেহেতু শূন্য পদের তথ্য তৈরির কাজ শেষ। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এনটিআরসিএ যেন নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেন সেজন্য সেসিপের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
এ প্রসঙ্গে সেসিপ এর ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর ফোরামের আহবায়ক মো. রাশেদ মোশাররফ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সেসিপভুক্ত এসএসসি ভোকেশনাল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানহগুলোতে ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগ হচ্ছে না। এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো হাতে কলমে শেখার কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। এর ফলে কারিগরি শিক্ষা তার কাঙ্ক্ষিত মান হারাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেসিপে নিয়োগ না হওয়ায় কারিগরি বিষয়ে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা বেকারই রয়ে গেছেন। তাই দ্রুত সেসিপের নিয়োগ কার্যক্রম শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করছি।