৩ হাজার শূন্য পদের তথ্য যাচাই শেষ আগামী সপ্তাহে
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ২৯ হাজারের বেশি শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। আরও তিন হাজার শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ হবে। এরপর যাচাইকৃত তথ্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিকট পাঠাবে মাউশি।
মাউশি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো মাউশি থেকে পাঠদানের অনুমতি নিয়েছে। পরবর্তীতে এই প্রতিষ্ঠানগুলো কারিগরি শাখা চালু করেছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে কারিগরি শাখা চালু রয়েছে সেগুলো কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে যাবে। আর কারিগরি শাখা না থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্যপদ মাউশিতে থাকবে।
ওই সূত্র আরও জানায়, এনটিআরসিএ দুটি সিডির মাধ্যমে শূন্য পদের তথ্য মাউশিতে পাঠিয়েছিল। এর মধ্যে প্রথম সিডির তথ্য যাচাই করে তা এনটিআরসিএতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যাচাইকৃত শূন্য পদের তথ্য এনটিআরসিএতে জমা দেওয়া হয়েছে। যাচাই শেষে ২৯ হাজার ৫৬টি শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কলেজ পর্যায়ের পদ সংখ্যা ২ হাজার ৮০৭টি। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শূন্য পদের সংখ্যা ২৬ হাজার ২৪৯টি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের সাথে সম্পৃক্ত মাউশির এক কর্মকর্তা বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা দুটি সিডির মাধ্যমে প্রায় ৩২ হাজার শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য পেয়েছিলাম। সবচেয়ে বড় যাচাইয়ের কাজটি শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় সিডিতে ৩ হাজার শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। এটিও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় সিডি এনটিআরসিএতে পাঠানো হবে।
এর আগে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের তথ্য যাচাই করে এনটিআরসিএতে পাঠায়। এই দুই অধিদপ্তর ৩৯ হাজারের বেশি শূন্য পদের তথ্য পেয়েছে। এর মধ্যে মাদ্রাসার শূন্য পদের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৫০০ এর কিছু বেশি। আর কারিগরির শূন্য পদের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬টি। ফলে তিন অধিদপ্তর মিলিয়ে ৬৮ হাজার ৬৫২টির বেশি শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেল।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে অর্ধ লাখের বেশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ। এজন্য দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পাঠানো শূন্য পদের তথ্যগুলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে যাচাই করার কাজ শেষ হয়েছে। এখন শিক্ষক নিয়োগের সবচেয়ে বড় শিক্ষক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ।