আমার জন্মদিন মুখ্য নয়, আজ ঢাবির জন্মদিন— এটাই বড় বিষয়
আজ ১ জুলাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের আজকের এই দিনে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালিপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন তিনি। এদিকে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শত বছরে পা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম উপাচার্যের জন্মদিনও আজ।
২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে আসছেন অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এর আগে ২০১৬ সালের ২৩ জুন থেকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিনে উপাচার্যেরও জন্মদিন। এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আজ আমার জন্মদিন সেটি আসলে মুখ্য বিষয় না। আজ ঢাবির জন্মদিন এটাই আসল বিষয়। আমার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে।
পড়ুন: একসময় ঢাবির ছেলে-মেয়েরা অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারত না
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিএ অনার্স ও এমএ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা ইন পার্সিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজবিষয়ক পোস্ট গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেন। তিনি ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন কলেজের ফুলব্রাইট স্কলার এবং যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফেলো ছিলেন তিনি।
১৯৯০ সালে তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের লেকচারার হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৫ সালের ১৫ জানুয়ারি সহকারী অধ্যাপক, ২০০০ সালের ২ জানুয়ারি সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৪ সালে তিনি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি বিভাগীয় চেয়ারম্যান এবং ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কবি জসীমউদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৪, ২০০৫ ও ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০৯ ও ২০১১ সালে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হন।
তিনি বিভিন্ন মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য, ন্যাশনাল কারিকুলাম কোঅর্ডিনেশন কমিটির (এনসিসিসি) সদস্য, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (বাকবিশিস) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর আমেরিকান স্টাডিজ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর ফুলব্রাইট স্কলার্স ও ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেসসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। দেশ-বিদেশে প্রকাশিত বিভিন্ন জার্নালে তার ৪২টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ রয়েছে। অনন্য সাধারণ গবেষণার জন্য ২০০৮ সালে তিনি ‘বিচারপতি ইব্রাহিম স্বর্ণপদক’ লাভ করেন।