ডাকসু নেতা সৈকতের প্রশংসায় ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তানভীর হাসান সৈকত ও তার সতীর্থরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অসহায় মানুষের প্রতি দায়িত্বশীলতার অনন্য নজির স্থাপন করেছে। জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীর প্রতি সম্মান রেখে যে প্রচেষ্টা তারা চালিয়েছে, তা সারা দেশে ছাত্রলীগকর্মীদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে রান্না করে খাবার বিতরণের ১০০তম দিন পূর্ণ হওয়ার আগের দিন আজ সোমবার অনলাইনে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের কোনো ঘর নেই। যারা ভাসমান মানুষ, যারা এই শহরে খোলা আকাশের নিচে বাস করে, যারা ফুটপাতে বাস করে, যাদের বসবাস রেল স্টেশনে, টার্মিনালে ও ফ্লাইওভারের নিচে। ছাত্রলীগকে এসব মানুষের জন্য সামনের দিনগুলোতে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, এদের কোনো তালিকা নেই, এদের তালিকা আপনাদেরকেই (ছাত্রলীগ) তৈরি করতে হবে। এই ভাসমানদের পাশে একশ দিন শেষ হওয়ার পরও আপনারা নতুন কর্মসূচি নেবেন। আমি নিজেও আপনাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি।
তানভীর হাসান সৈকত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স বিভাগের মাস্টার্সে পড়ছেন। তিনি ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে গত ডাকসু নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হন। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত ১৮ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধের পর শিক্ষার্থীরা যখন বাড়ি চলে যায়, তখন সৈকত ক্যাম্পাসের ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষের কথা চিন্তা করে টিএসসিতেই থেকে যান। প্রথমে নিজ উদ্যোগে ২৪ মার্চ থেকে নিজের জমানো ১৩ হাজার টাকা দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের মধ্যে গত তিন মাস ধরে বন্ধুদের নিয়ে টিএসসি থেকে ভাসমান-অসহায় মানুষের খাবার জোগান দিয়ে যাচ্ছিলেন সৈকত। সরকার সাধারণ ছুটি আর না বাড়ানোয় এবং বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ায় টিএসসিতে রান্না করা খাবার বিতরণের শততম দিন আগামীকাল মঙ্গলবার পূর্ণ করে এই কর্মসূচির ইতি টানছেন সৈকত।
তানভীর হাসান সৈকত জানান, ‘এবছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি এই কর্মসূচি ১০০ দিন পূর্ণ করেছেন’।