সেশনজট নিরসনে ঢাবিতে ক্লাস কম, পরীক্ষা বেশি!

সিনেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান
সিনেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান  © টিডিসি ফটো

নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কম সংখ্যক ক্লাস নিয়ে কীভাবে বেশি পরীক্ষা নেয়া যায়, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এজন্য বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউট প্রধানদের অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আহ্বান জানিয়েছেন অনলাইন ক্লাসের।

আজ রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশনে উপাচার্য তার অভিভাষণে এই অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল দুর্যোগ ও সংকট মোকাবেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অতীতে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায়ও সেভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্ধারিত ছুটিতে অনলাইনসহ বিভিন্ন সম্ভাব্য উপায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ও সক্রিয় রাখার ব্যাপারে সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের সহকর্মীদের বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে; যাতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কম সংখ্যক ক্লাস নিয়ে পরীক্ষা নেয়া যায়।

এর আগে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তিন থেকে ছয় মাসের সেশনজটের কবলে পড়তে পারে। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গুরুত্ব দিলে তেমন সমস্যায় পড়তে হবে না। তিনি বলেন, দেশের অন্য সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে ধরনের সমস্যা দেখা দেবে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কেও তেমন সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে।

উপাচার্য আরও বলেন, দুর্যোগের সময় আমরা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে সেশনজটসহ নানাবিধ সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। অতীতে আমাদের শিক্ষকরাও দুর্যোগকালীন অতিরিক্ত ক্লাস, দ্রুত সময়ে পরীক্ষা ও খাতা মূল্যায়ন করে সংকট কাটিয়েছে। এবারও আমরা সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি। এক্ষেত্রে কী কী করা যায়— সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং স্ব স্ব অনুষদ-বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছি।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের এই অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করে মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আগামী ২৩ জুলাই আবার বসবে এই অধিবেশন। করোনা প্রকোপের মধ্যে এই অধিবেশনে সিনেটের ১০৫ জন সদস্যের মধ্যে ৬৩ জন সদস্য যোগদান করেন। যোগ দেননি দুই উপ-উপচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও শিক্ষক সমিতির সভাপতিসহ অনেকেই।

সংক্ষিপ্ত এই অধিবেশনে নতুন তিনজনকে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়। তারা হলেন- অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, এস. এম বাহালুল মজনুন চুন্নু ও অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। ফিন্যান্স ক‌মি‌টি (এফ‌সি) সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে আ‌তাউর রহমানকে।


সর্বশেষ সংবাদ