৩ থেকে ৬ মাসের সেশনজটের শঙ্কা ঢাবি উপাচার্যের, জানালেন দূর করার উপায়
বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে নভেল করোনাভাইরাস। যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মার্চের মাঝামাঝি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এমন অবস্থায় সেশনজটমুক্ত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ফের সেশনজটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী তো বটেই, শঙ্কায় পড়েছেন তাদের অভিভাবকরাও। যদিও তা মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মুঠোফোনে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তিন থেকে ছয় মাসের সেশনজটের কবলে পড়তে পারে। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গুরুত্ব দিলে তেমন সমস্যায় পড়তে হবে না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অনলাইন পাঠদানের সম্ভাবনা এবং সেশনজট মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, করোনা বৈশ্বিক সমস্যা তো বটেই, সেই সঙ্গে জাতীয় দুর্যোগও। অন্যান্য দেশের অন্য সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে ধরনের সমস্যা দেখা দেবে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কেও তেমন সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। সম্প্রতি আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং সেশনজট দূর করতে বিভাগ ও ইনস্টিটিউটকে অনলাইন পাঠদানের অনুরোধ করেছি। এখন তারাই এটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।
ড. আখতারুজ্জামান আরও বলেন, দুর্যোগের সময় আমরা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে সেশনজটসহ নানাবিধ সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। অতীতে আমাদের শিক্ষকরাও দুর্যোগকালীন অতিরিক্ত ক্লাস, দ্রুত সময়ে পরীক্ষা ও খাতা মূল্যায়ন করে সংকট কাটিয়েছে। এবারও আমরা সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি। এক্ষেত্রে কী কী করা যায়— সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং স্ব স্ব অনুষদ-বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারাই ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করি।
তথ্যমতে, গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির এক সভায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়। সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাস্তবতার নিরিখে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো ও সুযোগ সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান (বিভাগ/ইনস্টিটিউট) এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কি কি চাহিদা/ঘাটতি রয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে নিরূপণ করে সংশ্লিষ্ট ডিন/পরিচালকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এ চাহিদা নির্ধারণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট ডিন/পরিচালক সমন্বয় করবেন।