করোনা: ঢাবিতে বহিরাগত পেলেই ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ
চীন থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাসে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ক্লাস-পরীক্ষা ও লাইব্রেরি বন্ধ করে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে রাজধানীর গণজমায়েতের জনপ্রিয় ক্যাম্পাসটিতে মানুষের আগমণ বন্ধ করা যায়নি।
এ অবস্থায় সবার ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নিরাপদে থাকতে সবাইকে পরিবারের সংস্পর্শে থাকার আহবান জানিয়েছেন তারা। এছাড়া করোনা থেকে সুরক্ষায় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার পরও বহিরাগত কাউকে পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী।
জানা গেছে, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার রাতে বিপুল সংখ্যক মানুষের আগমণ ঘটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, শহীদ মিনারসহ কয়েকটি স্থানে। ওইসব স্থানে অবস্থান করাদের অধিকাংশই ছিলেন বহিরাগত। এতে করোনা ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ কতটা কাজে আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতে হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের সুরক্ষাও হুমকির মুখে পড়ছে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় বিপুল সংখ্যক মানুষের আগমণ ঘটে। পরিস্থিতি এমন দাড়ায়, সেখানে বসার জায়গাও ছিলো না। করোনায় যেখানে মানুষের জমায়েত পুরোপুরি বন্ধের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এমন পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে। বেড়াতে আসা মানুষের বিবেক ও দায়িত্ববোধ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সব স্থানে অবাধে চলাচল ও জমায়েত করছেন বহিরাগতরা।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের না। আমরা অনেকবার না করেছি, তারপরও যদি কেউ নিজের নিরাপত্তা চিন্তা না করে, তাহলে আমাদের কি আর করার আছে। ক্যাম্পাস বন্ধ।’
তিনি বলেন, ‘সবাইকে অনুরোধ করবো, যেন সতর্ক থাকেন। সবাই যেন পারিবারিক সংস্পর্শে থাকে। তবে, যদি আমরা কোন বহিরাগত ক্যাম্পাসে পাই, তাহলে ব্যবস্থা নেবো।’