ঢাবিতে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বাস, ট্রাক, পিক-আপ ইত্যাদি ভারী যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানজট নিরসনে পরিবহণ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের দ্বিতীয় তলায় আয়োজিত সভায় জানানো হয়, ডাকসু ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগে ক্যাম্পাসের যানজট নিয়ন্ত্রণে একটি টিম গঠন করা হবে । এই টিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেঞ্জার এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাছাই করা শিক্ষার্থীরা থাকবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ভাসমান অবৈধ দোকান, হকার উচ্ছেদ করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় ঢাবি এলাকায় পরিবহণ ব্যবস্থাপনায় ৯ দফা প্রস্তাবনা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের পরিবহণ বিষয়ক সম্পাদক শামস-ই-নোমান।
এ বিষয়ে শামস-ই-নোমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার চারপাশে যানজটের সমস্যা রয়েছে। এ কারণে ডাকসুর পক্ষ থেকে জ্যামের স্পট থেকে ডাইভারশন করার কথা বলা হয়েছে। এই ডাইভারশনের অনুযায়ী নীলক্ষেত এলাকায় জ্যাম হলে ঢাবি ভিসির বাসভবনের সামনের সড়কটি খুলে দেয়া হবে। সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার সড়ক বন্ধ করে দেয়া হবে। এ সময় ক্যাম্পাসের ভেতরে জ্যাম নিরসনে অভ্যন্তরীণ সিগন্যালগুলো সুবিধা অনুযায়ী প্রতি ৩ মিনিট পরপর ছাড়ার পরামর্শ দেয়া হয় ট্র্যাফিক পুলিশকে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে বহিরাগত যান চলাচল সীমিত করার বিষয়েও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেখানে বহিরাগত ট্রাক, বাস, পিক-আপ ইত্যাদি ভারী যানবাহন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডাকসু সদস্য তিলোত্তমা সিকদার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভেতরে বেশকিছু সিগন্যাল রয়েছে। সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব সিগন্যালে এখন থেকে প্রতি ৩ মিনিট পরপর এক সড়ক ছেড়ে আরেক সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করে দিতে ট্র্যাফিক পুলিশের প্রতি পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সকল সময়ে ঢাবির বাসগুলোকে আন্তরিকতার সাথে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধও করা হয় ডাকসুর পক্ষ থেকে। এছাড়া ঢাবির স্টিকার ছাড়া ক্যাম্পাসে পার্কিং করা গাড়ির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্যে ট্রাফিক ও প্রক্টরিয়াল বডি মিলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী, সহকারী প্রক্টর বৃন্দ, ট্রাফিক ডিসি, বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কয়েকটি থানার ওসি, পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মেট্রোরেলের সমন্বয়ক, স্টেট ম্যানেজার এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, ডাকসু সদস্য ফরিদা পারভিন ও মাহমুদুল হাসান।